সেপ্টেম্বর মাসে তিনি নয়াদিল্লি যাবেন। এটা মোটামুটি ঠিক হয়েছে। কিন্তু তার মাঝেই এবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বিজেপি বিরোধী বৈঠকে আমন্ত্রণ জানালেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। গত মাসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়াদিল্লিতে এসে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছেন। তার পর এই বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এখন ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে বিরোধী জোট। বাদল অধিবেশন জুড়ে ঘন ঘন বৈঠক হতে দেখা গিয়েছে। এবার বিরোধীদের জন্য একটি বিশেষ ভার্চুয়াল বৈঠকের আয়োজন করছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। আগামী ২০ অগস্ট এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, কংগ্রেস সভানেত্রী বিশেষ পরিকল্পনা করেছেন। তিনি আলোচনা করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, উদ্ধব ঠাকরে–সহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বাদল অধিবেশনে সংসদে বিরোধীরা নিজেদের মধ্যে যে ঐক্য দেখিয়েছে। আর সেটাকে সম্মান জানাতেই এই বৈঠকের আয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি কোনও গোপন পরিকল্পনা এই বৈঠকে হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে।
জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন থেকে ঝাডখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। এই বৈঠকেই নয়াদিল্লিতে বিরোধীদের পরবর্তী মধ্যাহ্নভোজ বা নৈশভোজের আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেটা সেপ্টেম্বরেই রাখতে চাইছেন সোনিয়া গান্ধী। তাহলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও পাওয়া যাবে।
সূত্রের খবর, জোটের ফর্মূলা আগে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশান্ত কিশোরকে দূত হিসাবে পাঠিয়েছিলেন। এবার কংগ্রেসের পরিকল্পনা রয়েছে এই বিরোধী জোটকেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। তাই বিরোধী দলগুলি কংগ্রেসের রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের ঘরে বৈঠক করেন। এরপর তাঁরা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে সংসদ ভবন থেকে বৈঠক শেষে বিজয় চকে আসেন। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করেন রাহুল গান্ধী।
Be the first to comment