এর আগে বিজেপি নেতাদের টুইট ফ্ল্যাগ করে সরকারের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল টুইটারকে। আর এবার সোশ্যাল মিডিয়া এই সংস্থআর বিরুদ্ধে দেশের বিরোধী নেতাদের কণ্ঠরোধ এবং ভারতীয় রাজনীতির সংজ্ঞা নির্ধারণ করার চেষ্টার অভিযোগ উঠল। সম্প্রতি ব্লক করা হয়েছে রাহুল গান্ধীর টুইটার অ্যাকাউন্ট। এরপর কংগ্রেস দলের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল সহ একাধিক কংগ্রেস নেতার অ্যাকাউন্টও ব্লক করেছে টুইটার। এই আবহে সোশ্যাল মিডিয়া এই সংস্থার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাহুল গান্ধী। এদিন এক ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে টুইটারের প্রতি নিজের ক্ষোভ উগরে দেন রাহুল।
এদিন সাংবাদিকদের রাহুল বলেন, ‘আমার ১৯ থেকে ২০ মিলিয়ন ফলোয়ার আছে। তাঁদের মতামত পেতে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। টুইটারের নিরপেক্ষ প্ল্যাটফর্মের নীতি এতে খর্ব হচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের জন্য এটা ভয়ঙ্কর বিষয়। রাজনৈতিক লড়াইতে পক্ষ নেওয়া টুইটারের জন্য ভারী পড়তে পারে।’
এরপর রাহুল আরও বলেন, ‘একটা সংস্থা ব্যবসা করতে আমাদের দেশএর রাজনীতির সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দেবে, একজন রাজনীতিবিদ হয়ে আমি এটা পছন্দ করছি না। এটা আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর উপর আঘাত। এটা শুধু রাহুল গান্ধঈর উপর হামলা বা রাহুল গান্ধীকে চুপ করানোর বিষয় নয়।’
রাহুল গান্ধী আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র হামলার সম্মুখীন। আমাদের সংসদে বলতে দেওয়া হচ্ছে না। মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এই সবের মাঝে আমি টুইটারকে আশার কিরণ হিসেবে দেখেছিলাম। কিন্তু এটা সেরকম নয়। টুইটার পক্ষপাতদুষ্ট। যে দিন যে সরকারে থাকবে টুইটার তারই কথা শুনবে।’
উল্লেখ্য, নিয়মভঙ্গের অভিযোগ তুলে জাতীয় কংগ্রেসের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলও ব্লক করে দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এর আগে একই কারণে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী-সহ তাঁর দলের একাধিক নেতার টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়েছিল। টুইটারের এই পদক্ষেপে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতৃত্ব।
Be the first to comment