বৃহস্পতিবারই এসএসকেএম হাসপাতালে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ত্রিপুরায় ঘৃণ্য আক্রমণ করা হয়েছে। আমরা লড়ে নেবো। তার ২৪ ঘন্টা কাটেনি আগরতলা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করল তৃণমূল কংগ্রেস। বুঝিয়ে দেওয়া হলো, এখানে এক ইঞ্চি জমি ছাড়া হবে না। ত্রিপুরায় লড়াই এবার আইনি পথে শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ দলের নেতা–নেত্রীর বিরুদ্ধে বেআইনি এফআইআর খারিজের দাবিতে আগরতলা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে খবর। এই মামলাটির শুনানি হবে আগামী বুধবার।
ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় গিয়ে দফায় দফায় আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত, সুদীপ রাহারা। গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। এখন তাঁরা কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল তাঁদের দেখতে গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই দেখিয়েছিলেন রণংদেহী মেজাজ। আক্রান্ত যুব নেতাদের পাশে দাঁড়াতে ত্রিপুরা যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন, ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ। খোয়াই থানায় দীর্ঘক্ষণ বসেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তার জেরেই পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআর দায়ের করেছিল। এবার পাল্টা দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিকে ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিরুদ্ধে পুলিশের এফআইআরের বিরুদ্ধে আদালাতে গেল তৃণমূল কংগ্রেস। সেদিন খোয়াই থানার বসে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন ওসি মনোরঞ্জন দেববর্মা। এই রাজ্যের শাসকদলের ৬ নেতার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অন্যদিকে এই অভিযোগকে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। বরং তাদের প্রশ্ন, আদালতে কেন অভিযোগ করা হল না? এতদিন পরে কেন মামলা দায়ের? এবার এই সব প্রশ্ন আদালতে তুলতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে যদি পুলিশের মামলা খারিজ হয়ে যায় সেটা হবে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের নৈতিক জয়। অবশেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ দলের ৬ নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর খারিজের দাবিতে আগরতলা হাইকোর্টে মামলা করল তৃণমূল কংগ্রেস।
Be the first to comment