শুক্রবার মুচিপাড়ায় বাড়ির দরজা ভেঙে বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনাকে ‘মস্তানি’ বলে শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী। মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট মনে করিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন,’পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নয়, শাসকের আইন চলছে।’
এদিন সন্ধ্যায় সজল ঘোষের স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপরই রাত ১০টা নাগাদ সজল ঘোষের বাড়িতে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কথা বলেন স্ত্রীর সঙ্গে। সজল ঘোষের বাবা প্রদীপ ঘোষের সঙ্গেও কথা হয় তাঁর। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘বাংলায় একদলীয় শাসনতন্ত্র কায়েম করতে চাইছে। এর সমাধান গণতান্ত্রিক আন্দোলন। বিচারব্যবস্থাও রয়েছে। সুবিচার পেয়ে মাথা উঁচু করে ফিরবে সজল। আরও প্রতিবাদী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবে। দরজা ভাঙা। পুলিশের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সর্বস্তরে করতে পরামর্শ দিয়েছি। থানা এফআইআর না নিলে আদালতে যেতে হবে। আইনি লড়াইয়ে পরিবারের পাশে আছে বিজেপি। প্রদীপবাবুকে বললাম আমরা সবাই আছি।’
পুলিস ‘অতিসক্রিয়’ হয়ে উঠেছে বলে এদিন অভিযোগ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘এই পদ্ধতিতে যদি বাগনানের নির্যাতিতার দোষীদের ধরতো তাহলে বুঝতাম ঠিক কাজ করেছে। এরাই ত্রিপুরায় গিয়ে গণতন্ত্রের কথা বলছে। মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে বলা আছে, শাসনের আইন নেই। শাসকের আইন চলছে। প্রদীপ ঘোষ অসুস্থ। বাড়িতে মহিলারা থাকেন। লাথি মেরে দরজা ভাঙা হয়েছে। এটা মস্তানি। ২৩৫-এর দম্ভ দেখিয়ে শূন্য হয়ে গিয়েছে। এরা ২১৩-এর দম্ভ দেখাচ্ছে। এটা আমরা মনে করি মানবাধিকার লঙ্ঘন। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলবে। ‘
অন্যদিকে দরজা ভাঙার দৃশ্য ‘অবাঞ্ছিত’ বলে মনে করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি টুইট করেন,’মুচিপাড়া: কাল রাত থেকে বিজেপি অসভ্যতা করেছে। সজল এর মধ্যে ঢুকে অন্যায় করেছে। মানুষের ক্ষোভ থাকবেই। সজলের উচিত ছিল পুলিশকে সহযোগিতা করে বেরিয়ে আসা। তবে অভিযোগের অনুপাতে পুলিশের সময় না দিয়ে দরজা ভাঙার দৃশ্য অবাঞ্ছিত। এতে অভিযুক্তদের সুবিধা হয়।’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সজল ঘোষকে গ্রেফতার করতে যায় মুচিপাড়া থানার পুলিস। তবে দরজা খোলেননি সজল। তিনি অনড় থাকেন, দরকারে পুলিশ দরজা ভেঙে গ্রেফতার করবে। এরপর লাথি মেরে দরজা ভাঙে পুলিস। গ্রেফতার করা হয় সজলকে। সজলের অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
Be the first to comment