একুশের নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পাওয়ার পর নয়াদিল্লি গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে সোনিয়া–রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে জোট তৈরির লক্ষ্যেই ছিল এই বৈঠক। কিন্তু তারপর জোটের ছবিতে কিছুটা বদলের গন্ধ মিলেছে।
প্রশ্ন উঠেছে, নয়াদিল্লিতে বিরোধীদের বিক্ষোভে কেন সামিল হচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস? রাহুল গান্ধী সক্রিয় হচ্ছেন বলেই কি দূরত্ব বাড়াচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস? তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সব প্রশ্নের উত্তরে জানিয়ে দেওয়া হলো, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে কোনও জোটের কথা ভাবা হচ্ছে না। শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদকীয়তে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে।
মুখপত্রে বার্তা দেওয়া হয়েছে, ‘কোনও তৃতীয় বিকল্প নয়, বিরোধী জোটই একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত।’ তবে সেই জোট হবে কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী কার্যকলাপে নির্দিষ্ট নীতি মেনে হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, ‘আজ হঠাৎ মনে হল, একটা ফোনে বলে দিলাম আমরা মিছিল করছি, চলে আসুন, এটা তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষেত্রে চলবে না।’
তৃণমূল কংগ্রেস যে কোনও জোট ছাড়াই বিজেপিকে হারিয়ে নিজেদের ক্ষমতার প্রমাণ করেছে বলেও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। দলীয় মুখপত্রে কংগ্রেসকে বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, ‘কংগ্রেস যদি লোকসভা নির্বাচনে উপযুক্ত বিকল্প হিসেবে লড়াই দিতে পারত তাহলে বিজেপি এত আসন পেত না।’ সুতরাং জোটকে আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে।
এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘অতীতে যেভাবে জোট হয়েছে, তার থেকে সময় বদলেছে। এখন বাস্তবসম্মত বিরোধী জোট তৈরি করতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেস জানে কীভাবে শীর্ষ নেতৃত্বকে পরাজিত করতে হয়। তৃণমূলনেত্রী সৌজন্য দেখিয়েছেন বলে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছেন। সংসদের ভিতরে–বাইরে সাংসদরা একসঙ্গে কাজ করেছেন।’ এখানে কোনও জল্পনার প্রয়োজন নেই বলেই তিনি দাবি করেন। আর কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়েই জোটবদ্ধ লড়াই হবে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, এই জল্পনা তৈরি হয়েছে কারণ সংসদ চত্বরের বাইরে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস–সহ সব বিরোধী দল। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে এই বিক্ষোভে শিব সেনা, আম আদমি পার্টি থেকে ডিএমকে, সব বিরোধী দল অংশগ্রহণ করলেও দেখা যায়নি তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সাংসদকে। এমনকী যন্তর মন্তরে কৃষক আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিরোধীরা। সেখানেও তৃণমূল কংগ্রেসের অনুপস্থিতি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তবে আজ জাগো বাংলায় সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
Be the first to comment