আসরাফ ঘানি কাবুল ছাড়তেই আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্টের বাসভবন দখল করল তালিবান। তালিবানের দুই শীর্ষস্থানীয় নেতা সংবামাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঘানির দেশত্যাগের পরেই ওই পদক্ষেপ নিয়েছে কট্টরপন্থী সংগঠন। যদিও আফগান সরকার সূত্রে এখনও পর্যন্ত বিষয়টিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।
এদিকে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে প্রশাসনিক কর্তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। কোনওভাবেই নাকি তাঁদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, তাহলে কি সত্যিই আফগানিস্তানে বছর কুড়ি আগের ইতিহাস ফিরছে? এদিকে ঘানির সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলও আফগান ছেড়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে তাজাকিস্তানের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন আসরাফ ঘানি ও তাঁর দলবল। যদিও কোথায় গায়েব হয়ে গেলেন দেশের নেতারা, এ নিয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ সে দেশের বর্তমান প্রশাসন। তবে জানা গিয়েছে, রাজনীতিকদের নিরাপত্তাজনিত কারণে তাঁদের গতিবিধির বিষয়ে এখনই প্রকাশ্যে আনা হবে না।
তবে হার মেনে নিতে চাইছেন না আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমিরুল্লাহ সালেহ। এদিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বিসমিল্লাহ মোহাম্মদি আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে ঘানি দেশের বিপর্যয় সামলানোর দায়িত্ব রাজনীতিকদের কাঁধে দিয়ে সরে এসেছিলেন। মোহাম্মদি জানিয়েছিলেন, সোমবার দেশের ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনার জন্য এক প্রতিনিধি দল দোহার উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। সেই দলে রাজনীতিক ইউনুস কানুনি, আহমদ ওয়ালি মাসুদ, মহম্মদ মহাকিক সহ আরও বেশ কিছু হেভিওয়েট রাজনীতিকের থাকার কথা।
প্রসঙ্গত, রবিবার আচমকাই কাবুলে ঢুকতে শুরু করেছিল তালিবান। ময়দান ওয়ারদাকের দখল নেওয়ার পর একেবারে ঝড়ের গতিতে কাবুলের সীমান্তে পৌঁছে গিয়েছিল তালিবান। সূত্রের খবর, আতঙ্কিত প্রশাসনিক কর্তারাও কাবুল ছেড়ে পালানোর চেষ্টা শুরু করেছিলেন।
যদিও ততক্ষণে আফগান মুলুকের সমস্ত বর্ডার ক্রসিংয়ের দখলও তালিবানের হাতে চলে এসেছিল। শুধুমাত্র একটাই ‘ওয়ে আউট’ ছিল। তা হল কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সেই পথ ব্যবহার করেই কূটনীতিকরা পালিয়ে যেতে শুরু করেছিলেন।
Be the first to comment