তালিবানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে রাজি, কাবুলের পতনের পরপরই বার্তা চিনের

Spread the love

কাবুলের পতন ঘটে রবিবারই। তবে এখনও পর্যন্ত সেই অর্থে কোনও দেশ তালিবানকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেনি। ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে বলপূর্বক ক্ষমতা দখল করা কোনও শক্তিকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আবেদন জানান যাতে এখনই তালিবানি সরকারকে স্বীকৃতি না দেওয়া হয়। তবে এরই মাঝে তালিবানকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা কার্যত ঘোষণা করে দিল চিন। এদিন চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানান যে তালিবানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করার ক্ষেত্রে কোনও আপত্তি নেই চিনের।

আফগানিস্তানের সঙ্গে চিনের ৭৬ কিলোমিটার লম্বা সীমান্ত রয়েছে। চিনের চিরকাল ভয় ছিল, জিনজিয়াংয়ের অত্যাচারিত মুসলিমরা আফগানিস্তানে আশ্রয় নিতে পারে। তবে তালিবানের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখলে সেই বিষয়ে চিনকে অভয় দিতে পারে তালিবান। উল্লেখ্য, গতমাসই চিনের রাজধানীতে গিয়ে সেদেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করে এসেছিল তালিবানের শঈর্ষ স্থানীয় নেতৃত্ব।

সূত্রের খবর, খুব দ্রুত তালিবানিরা ইসলামিক এমিরেটস অফ আফগানিস্তানের পুনর্গঠন করতে চলেছে। এই আবহে আফগানিস্তানের পরিস্থিতির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দায়ী করে তাঁর ইস্তফা দাবি করলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রসঙ্গত, এদিন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টি ব্লিনকেন জানান যে তালিবান যদি আফগান নাগরিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘন না করে তাহলে তাদের সঙ্গে কাজ করতে ওয়াশিংটনের অসুবিধা নেই।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*