কাবুলের গুরুদ্বারে আশ্রয় নিয়েছে ১২০টি শিখ এবং হিন্দু পরিবার। এককালে বেশ ভালো সংখ্য শিখ এই দেশে থাকলেও বিগত বেশ কয়েক দশক ধরে কট্টরপন্থীদের আক্রমণের জেরে সেই সংখ্যা নেমে এসেছে। এই আবহে বর্তমানে ১০০টি শিখ পরিবার কাবুলের গুরুদ্বারে আশ্রয় নিয়েছে। সঙ্গে ২০টির মতো হিন্দু পরিবারও রয়েছে।
আফগান সংসদের সদস্য নরিন্দর পাল সিং বলেন, ‘আমরা এখনও কিছুই বলতে পারছি না। এখানে পরিস্থিতি খুবই অনিশ্চিত। আমাদের দেশ থেকে অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও বিমান নেই। আমরা তাও দেখছি যা করা যায়।’ উল্লেখ্য, নরিন্দরের বাবা অবতার সিং খালসাও সংসদ সদস্য ছিলেন। ২০১৮ সালে জালালাবাদে এক বিস্ফোরণে তিনি প্রাণ হারিয়েছিলেন।
কাবুলের শিখরা আমেরিকা এবং কানাডায় বসাবসরত শিখদের কাছে আবেদন করেছেন যাতে তাদের সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে আফগানিস্তান থেকে দিল্লিতে এসে থাকা এক শিখ নেতা হিরা সিং জানিয়েছেন যে তিনি জালালাবাদের শিখ পরিবারের বিষয়ে খবর রাখছেন।
তবে গত দুই দিন ধরে নাকি তাঁর ফোন কেটে দেওয়া হচ্ছে। তবে তিনি জানান যে জালালাবাদের শিখরা কাবুলে পৌঁছেছেন বলে তাঁর কাছে খবর রয়েছে। এদিকে কাবুলের গুরুদ্বারে প্রায় ৫০ জন হিন্দুও আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে কাবুলের তালিবান নেতারা গুরুদ্বারে গিয়ে শিখদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন। তালিবান শিখদের অভয় দিয়েছেন। তবে তাতে শঙ্কা কাটছে না সেখানে আটকে থাকা শিখ এবং হিন্দুদের।
Be the first to comment