বরাক উপত্যকায় গণ–ইস্তফা কংগ্রেসের, সুস্মিতা পদত্যাগে ধুয়েমুছে সাফ হাত শিবির

Spread the love

হাত ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ দিয়েছেন শিলচরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেব। তারপরই দেখা গিয়েছে, অসমে গণ ইস্তফা দিলেন কংগ্রেসের নেতা–কর্মীরা। আর তাতে ২৭ জন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের কথা জানিয়ে দিলেন। অসমেও তৃণমূল কংগ্রেস শক্তিশালী ভিত করতে চায়। তাই সুস্মিতাকেই এখানে মুখ করতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। এই কথা প্রকাশ্যে আসতেই অসম জুড়ে কংগ্রেসে ভাঙন শুরু হয়। যা চাপে ফেলে দিয়েছে কংগ্রেসকে।

এখানের কংগ্রেস নেতা–কর্মীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অসম কংগ্রেসকে একেবারেই গুরুত্ব দিয়ে দেখেন না। নির্বাচনের আগে তার নজির মিলেছে। বিজেপি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে ফেলার পরও দেখা গিয়েছে অসমের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কোনও হেলদোল নেই। এখানে ইচ্ছাকৃত কংগ্রেসকে দুর্বল করে দেওয়া হচ্ছে। কংগ্রেসে থেকে আর কাজ করা সম্ভব নয়।

কারা কংগ্রেস ছাড়লেন?‌ দেখা গিয়েছে, তালিকায় রয়েছেন শিলচর কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা রাজেশ দেব, রাহুল আলম লস্কর, সূর্যকান্ত সরকার, মোহনলাল দাস, পাপন দেব, সজল বনিক, মজুদ আহমেদ লস্কর, রাজদীপ দেব রায়, মনোজ কুমার দে, জ্যোতিরিন্দ্র দে, অভিষেক রায় চৌধুরীরা। কার্যত অসমে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গেল কংগ্রেস।

উল্লেখ্য, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষমোহন দেবের মেয়ে সুস্মিতা দেবের ইস্তফায় কংগ্রেসের ভিতরে ডামাডোল শুরু হয়। সোমবার সকালেই কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেন শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব। সোনিয়া গান্ধীকে চিঠিতে লেখেন, ‘‌তিন দশক ধরে অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করছি। এতদিন ধরে আমার পাশে থাকার জন্য সকল সতীর্থ, নেতা–মন্ত্রীদের অনেক ধন্যবাদ। এই তিন দশকের স্মৃতি আমি চিরকাল আমি মনে রাখব।’‌

তারপরই কলকাতায় আসেন সুস্মিতা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ও’ব্রায়েনের উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখাও করেন তিনি। ফেসবুকে সেই পোস্টও করেন। তারপর থেকেই দেখা যায়, বরাক উপত্যকায় কংগ্রেসের ভাঙন। একেবারে গণ ইস্তফা। এখন সেটা ঠেকানো কার্যত কঠিন বলেই মনে করা হচ্ছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*