পরিবারের সব মহিলারাই কি ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এ টাকা পাবেন? স্পষ্ট করলেন মমতা

Spread the love

‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এ কি পরিবারের সকল মহিলা টাকা পাবেন? নাকি যাঁর নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে, তিনিই শুধুমাত্র ফর্ম তুলতে পারবেন? তা নিয়ে একাংশের মধ্যে ধন্দ তৈরি হয়েছিল। সেই ধোঁয়াশা কাটাতে এগিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, যে মহিলাদের (২৫-৬০ বছর) নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই, তাঁরা শর্তসাপেক্ষে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর ফর্ম তুলতে পারবেন।

বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁরা যোগ্য, তাঁরা সকলেই (‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর ফর্ম) পাবেন। ২৫-৬০ বছরের মধ্যে পাবেন। যাঁরা সরকারি চাকরি করেন না বা পেনশন পান না। সরকারি চাকরি করেন বা পেনশন পান যাঁরা, তাঁরা ছাড়া সাধারণ মা-বোনেরা পাবেন।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘যাঁরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করেছেন, তাঁরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখালেই ফর্ম পেয়ে যাবেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে আমরা একটা নিয়ম করেছি। বাড়ির সবথেকে বয়স্ক মহিলার নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে। ধরুন, সেই বাড়িতে তিনজন মহিলা আছেন। তাঁদের বয়স ২৫ থেকে ৬০-এর মধ্যে। তাঁদের নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই। তাঁদের অভিভাবকের নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে ওই বাড়ির বউ-মেয়েরা পাবেন।’

প্রসঙ্গত, ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি মতো ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর ফর্ম বিলির শুরু থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে লম্বা লাইন পড়েছে। রীতিমতো উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে করোনাভাইরাস বিধি। সামাজিক দূরত্ব উড়িয়ে দিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছে অসংখ্য মানুষ। মালদহের সাহাপুরে তো ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তারইমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন, এক মাস চলবে ফর্ম বিলির কাজ। যাঁরা যোগ্য, তাঁরা সবাই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর সুবিধা পাবেন।

প্রয়োজনে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও তিন-চারদিন বাড়তি শিবির চালানো হবে। যাতে সবাই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর সুবিধা পান। যে প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের জেনারেল শ্রেণিভুক্ত পরিবারের মহিলাদের মাসিক ৫০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত পরিবারের মহিলারা ১,০০০ টাকা পাবেন। তাই সকলকে করোনাভাইরাস বিধি মেনে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-র ফর্ম তোলার আর্জি জানিয়েছেন মমতা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*