ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন ২০২৩ সালে। আর এই নির্বাচনে বিপ্লব দেবের সরকারকে পরাজিত করাই এখন পাখির চোখ তৃণমূল কংগ্রেসের। সেখানে এখন সংগঠন মজবুত করার কাজ করছে ঘাসফুল শিবির। রোস্টার করে সেখানে বারবার পৌঁছছেন তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। ইতিমধ্যেই সুবল ভৌমিকের মতো নেতা চলে এসেছেন ঘাসফুল শিবিরে। এই পরিস্থিতিতে এবার ত্রিপুরার প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং পাঁচবারের বিধায়ক জিতেন সরকারের তৃণমূল কংগ্রেসে আসা নিয়ে গুঞ্জন তুঙ্গে উঠেছে।
বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকেই জিতেন সরকারের বিষয়টি সামনে আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ত্রিপুরার প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং পাঁচবারের বিধায়ক জিতেন সরকার অনুগামীকে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চেয়ে তাঁকে চিঠি দিয়েছেন৷ তবে চিঠিতে কি লেখা রয়েছে তা বিস্তারিত জানাননি।
উল্লেখ্য, একদা বামপন্থী নেতা ২০০৮ সালে সিপিআইএম ত্যাগ করেন। ২০১০ সালে যোগ দেন কংগ্রেস। আবার ২০১৬ সালে ফিরে যান পুরনো দল সিপিআইএমে। কিন্তু সেই যোগদানও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ২০১৭ সালে জিতেন সরকার যোগ দেন বিজেপিতে। এখন তিনিই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ত্রিপুরায়। এবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন বলে মনস্থির করেছেন তিনি বলে খবর৷
তবে তৃণমূল সুপ্রিমোর হুঁশিয়ারি, তৃণমূল কংগ্রেসকে আটকানো যাবে না। ত্রিপুরায় ক্ষমতা দখল করবে তৃণমূল কংগ্রেসই। ত্রিপুরায় লাগাতার তৃণমূল কংগ্রেসের উপর বিজেপি আক্রমণ নামিয়ে আনছেন বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা যে হোটেলে উঠছেন, সেখানেও সমস্যা তৈরি করা হচ্ছে। হোটেল কর্তৃপক্ষের উপরেও পুলিশ, প্রশাসনের চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ হোটেলে বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ৷
এই গোটা বিষয়টি নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এবার আমরা ত্রিপুরায় জিতবই৷ আমরা চাই বাংলার প্রকল্পগুলি ত্রিপুরায় চালু হোক ৷ ত্রিপুরার মানুষ বিনা পয়সায় চিকিৎসা পাক, বিনা পয়সায় রেশন পাক ৷ আমরা চাই ত্রিপুরার মানুষ ভালো থাকুক ৷’ এখন জিতেন সরকারের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের গুঞ্জনে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।
Be the first to comment