প্রয়াত রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীত শিল্পী পিলু ভট্টাচার্য, স্তব্ধ সঙ্গীত জগত

Spread the love

প্রয়াত সংগীত শিল্পী পিলু ভট্টাচার্য। বেশ কিছুদিন ধরেই বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন খ্যতনামা এই শিল্পী। দিন কয়েক আগেই বাড়ি ফিরে ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে আচমকাই ফের বুকে ব্যথা শুরু হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। 

এদিন সংগীত শিল্পী পিলু ভট্টাচার্যের ছেলে ঋতর্ষি ভট্টাচার্য সোশ্য়াল মিডিয়ায় বাবার মৃত্যু সংবাদ দিয়ে বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, আমার বাবা পিলু ভট্টাচার্য আজ আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করুন’। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। প্রবাদপ্রতিম শিল্পীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ইন্ডাস্ট্রিতে।

https://www.facebook.com/pilu.bhattacharya/posts/1691378964385199

শিল্পীর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলার শিল্পীরা। পিলু ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে সংগীত শিল্পী জোজো লিখেছেন, ‘পিলু এটা ঠিক হল না বন্ধু।’ অন্যদিকে, পরিচালক রিঙ্গো লিখেছেন, ‘ওপারে তোমার সঙ্গে দেখা হবে।’

পিলু ছোট বেলা কাটিয়েছেন উত্তর কলকাতায়। পড়াশুনার পাশাপাশি গানকে চালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। প্রথম জীবনে কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গেয়ে ধীরে ধীরে কিছুটা নাম অর্জন করেন। কেরিয়ারের শুরুতে অনেকটা স্ট্রাগল করতে হয়েছিল। পরবর্তীতে ছবিতে একের পর এক হিট গান গেয়েছেন। বিশেষ করে প্যারোডি গান ও মজার গানের জন্য খ্যাত তিনি। এরপর নিজেই গান লিখতে শুরু করেন। তাঁর মৌলিক গানের অ্যালবাম রাতারাতি বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ২০০৭ সালে তাঁর ‘রাধামাধব’ অ্যালবাম প্রচুর সমাদর পেয়েছে দর্শকদের কাছে। 

জলছবি, কান্দিয়া আকুল, চল যাই-এর মতো একাধিক হিট গান তৈরি করেছেন প্রবাদপ্রতিম এই সংগীত শিল্পী। গানের পাশাপাশি খেলাধুলোর প্রতি একটা তীব্র আকর্ষণ ছিল তাঁর। ২০১৯ সালে ভারতীয় দলের জন্য ‘ইন্ডিয়া জিতেগা’ গানটি গেয়েছিলেন। দিয়েগো মারাদোনার সামনে গান গেয়ে তাঁর প্রশংসা পেয়েছিলেন। তাঁর জীবনাবসানে শোকের ছায়া বাংলা সংস্কৃতিক মহলে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*