সিপিআইএম তাঁকে ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করেছে। কারণ তিনি জাগো বাংলায় দফায় দফায় সম্পাদকীয় লিখেছিলেন। হ্যাঁ, প্রয়াত নেতা অনিল বিশ্বাসের মেয়ে অজন্তা বিশ্বাস। এবার তাঁর পাশে দাঁড়াল তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেকথা সোমবার দলীয় মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়েছে। সিপিআইএম–কে কটাক্ষ করে লেখা হয়েছে, ‘আজব দল সিপিআইএম। নিজে ডুবেছে। শরিকদের ডুবিয়েছে। শূন্যে নেমেও এখনও শিক্ষা হয়নি।’ এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই সিপিআইএমের অন্দরে দড়ি টানাটানি চলছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশস্তি করেছিলেন তিনি। তাই তাঁকে দলের কোপে পড়তে হয়েছে। এমনকী তাঁকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছিল। তিনি জবাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের খুশি করতে পারেননি। তাই তাঁকে ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। এই সিদ্ধান্তেরই সমালোচনা করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে।
সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, অজন্তার লেখা ছিল পুরোপুরি ইতিহাসভিত্তিক। কোনও রাজনৈতিক লেখা নয়। তাই বিষয়বস্তুর নিরিখে উঠে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ‘লেখকের স্বাধীনতা মেনে একটি শব্দও বাদ না দিয়ে বামপন্থী নেত্রীদের নাম ছাপতে পারে, তা হলে আজও সিপিআইএম কেন এত সংকীর্ণ, কূপমণ্ডূক?’
অজন্তার শাস্তি নিয়ে পুরনো কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদকীয়তে। প্রয়াত নৃপেন চক্রবর্তী থেকে সইফুদ্দিন চৌধুরী, সমীর পুততুণ্ড থেকে সুজিত বসু কিংবা লোকসভার প্রয়াত স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়— ‘নিজের মত প্রকাশ করে’ সিপিআইএম–এর রোষানলে পড়েছিলেন। এখানে সেই তালিকা উল্লেখিত হয়েছে। তরুণী অধ্যাপককে শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে ওই সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ‘অজন্তা বিশ্বাসকে শাস্তির ঘটনাক্রমে সময় এলে সঠিক জবাব পাবে সিপিআইএম।’
Be the first to comment