অশান্ত আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে বিশদে আলোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন। জি৭ বৈঠকের আবহে ফোনে দীর্ঘ আলোচনা করেন এই দুই রাষ্ট্রনেতা। সূত্রের খবর, আফগানিস্তানের প্রসঙ্গ ছাড়াও ভারত ও রাশিয়ার দ্বিপাাক্ষিক ইস্যু নিয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। তবে আজকের কথোপকথনে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি, এমনটাই খবর সূত্রের।
ইতিমধ্যেই তালিবানের সঙ্গে আলোচনার জন্য রাশিয়া নরম মনোভাব দেখিয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। নয়া দিল্লি অপেক্ষা করে পরিস্থিতির গভীরতা মেপে নিতে চাইছে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। এই অবস্থায় আফগানিস্তান প্রসঙ্গে মোদী-পুতিনের কথোপথন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনার পর একটি টুইটই করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লেখেন, আমার বন্ধু পুতিনের সঙ্গে আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে বিশদে মত বিনিময় করলাম। পাশাপাশি ভারত-রাশিয়ার করোনার বিরুদ্ধে লড়াই এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়েও কথা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলাপ আলোচনা করা বিষয়ে আমরা উভয়েই সহমত পোষণ করেছি।
সূত্রের খবর, এ দিন দু’জনের মধ্যে ফোনে প্রায় ৪৫ মিনিটের আলোচনা হয়। দুই দেশই বর্তমান আফগানিস্তানের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানান মোদী ও পুতিন। রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ফোনে কথা বলার আগে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেলের সঙ্গেও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, আফগানিস্তান থেকে কী ভাবে যৌথ এবং পারস্পরিক সহায়তার মাধ্যমে উদ্ধারকার্য মসৃণভাবে চালানো যায়, সেই নিয়ে অন্যান্য দেখের প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর পাশাপাশি আফগানে তালিবানি শাসনের জেরে বাণিজ্যের উপর কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে, সেই নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
প্রসঙ্গত, তালিবানকে রাশিয়াও জঙ্গি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করলেও বর্তমানে তালিবানের নতুন সংস্করণ দেখার পর কিছুটা নরম মনোভাব দেখাতে শুরু করেছে মস্কো। আফগানিস্তানে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে বলতে শোনা যায় যে, তালিবানি শাসনে আগের সরকার থেকে বেশি ভাল পরিস্থিতি কাবুলে। ফলে রাশিয়াও এবার তালিবদের সঙ্গেই তাল মেলাবে কি না, এই নিয়ে একটা জল্পনা আন্তর্জাতিক মহলে রয়েছেই। এরই মধ্যে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে পুতিনের বৈঠকের পর পরিস্থিতি কী হয়, সেদিকেই নজর কূটনৈতিক মহলের।
Be the first to comment