একাধিকবার রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে দলের বিরুদ্ধেও সরব হতে দেখা যায় তাঁকে। এবার সেই মনোরঞ্জন ব্যাপারীর হাতেই বড় দায়িত্ব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলাগড়ের বিধায়ক তথা দলিত সাহিত্যিক মনোরঞ্জনকে এবার দলিত সাহিত্য সম্মেলন আয়োজন করার গুরুদায়িত্ব দেওয়া হল।
বুধবার নবান্ন সভাঘরে অনগ্রসর শ্রেণীর কল্যাণ বিভাগের একটি বৈঠকে বিধায়কের কাঁধে এই দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধায়কের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এবার থেকে প্রতি রাজ্যের দলিত সাহিত্যিকদের নিয়ে একটি সাহিত্য সম্মেলন হোক। আপনি গোটা বিষয়টি আয়োজন করুন। জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতি কাটলে নভেম্বর-ডিসেম্বর নাগাদ এই সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
পাশাপাশি, মনোরঞ্জন ব্যাপারীর আর্জি মেনে বলাগড়ে দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমির একটি শাখা খোলা হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। পরিবর্তে বিধায়কও কৃতজ্ঞতা জানান মুখ্যমন্ত্রীকে। সাহিত্য অ্যাকাডেমির একটি লোগোও মমতা নিজে হাতে এঁকে দিয়েছেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, বলাগড় কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে ফেসবুকে সরব হতে দেখা গিয়েছে বর্তমান বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে। হুগলি জেলার দুই হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধে নিজের ফেসবুক লাইভে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। তৃণমূলের এই নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন তিনি। একসময় রিক্সা চালাতেন তিনি। এখন অবশ্য টোটো কিনেছেন। লেখক হিসেবেও বেশ সুপরিচিত বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। কিন্তু ফেসবুক পোস্টে এই তৃণমূল বিধায়ক জানিয়েছিলেন, রাজনীতিতে এসে বোধহয় তিনি ঠিক করেননি! সদ্য ভোটে জয়ী হওয়া বিধায়কের গলা এই সুর শুনে তোলপাড় চলেছিল নেটপাড়ায়।
অন্যদিকে, তফসিলি জাতির জন্য বাজেট বাড়ানো হল রাজ্যে। বুধবার নবান্নে এমনটাই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চাকরিক্ষেত্রেও তাঁদের জন্য সংরক্ষণ বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি। এখন থেকে ২২ শতাংশ সংরক্ষিত করা হল পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের জন্য। এদিনই প্রথম রাজ্যে নবগঠিত তফসিলি জাতি উন্নয়ন কাউন্সিলের বৈঠক হল। তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পরই তফসিলি জাতি, উপজাতির উন্নয়নের পৃথকভাবে শিডিউল্ড কাস্ট অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল তৈরি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের মধ্যে প্রথম কোনও অনগ্রসর শ্রেণির জন্য এ ধরনের বোর্ড তৈরি হয়েছে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।
Be the first to comment