‘‌টিকার শংসাপত্রে জাতীয় পতাকার ছবি লাগানো উচিত’‌, মোদীকে কড়া আক্রমণ মমতার

Spread the love

আগেও এই আওয়াজ তিনি তুলেছিলেন। এবার সেই আওয়াজ সপ্তমে চড়ালেন তিনি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ভার্চুয়াল সভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি সুর চড়িয়ে দাবি তোলেন, নরেন্দ্র মোদীর ছবি নয়, করোনাভাইরাসের টিকাকরণের সার্টিফিকেটে থাক জাতীয় পতাকার ছবি৷ আগে তিনি কেন প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এবার সেখানে কি থাকা উচিত তা তিনি বাতলে দিলেন।

এখন প্রশ্ন উঠছে, তিনি হঠাৎ জাতীয় পতাকার কথা কেন বললেন?‌ সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, তাঁর টেবিলে এবং আশেপাশে জাতীয় পতাকা রাখা থাকছে। আবার শংসাপত্রেও জাতীয় পতাকা রাখার বিষযে তিনি সওয়াল করেছেন। এখন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি এগোচ্ছেন। তাই দেশের স্বার্থেই তাঁর এখন সব ভাবনা–চিন্তা। আর সেখান থেকেই এই জাতীয় পতাকার সংযোজন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?‌ আজ কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‌জিএসটি, বিপর্যয় মোকাবিলার টাকা দেয় না৷ খালি ছবি লাগাতে ব্যস্ত৷ টিকা দিয়েও তাতে নিজের ছবি লাগিয়ে দিচ্ছে৷ তাহলে করোনায় মৃত্যু হলেও আপনার ছবি লাগিয়ে দেওয়া উচিত! এত মানুষ মারা গেলেন, প্রত্যেকের বাড়িতে একটা করে ছবি পাঠিয়ে দিই? একটা টিকা দেওয়ার কৃতিত্ব নিতেও ছবি লাগাতে হয় কেন? এটা কী ধরনের মানসিকতা? আমাদের এখানে যখন সরকার টিকা কিনে মানুষকে দিতে শুরু করল, তখন আমাকেও ছবি লাগানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল৷ আমি তা করিনি৷ ছবি লাগাতে হলে জাতীয় পতাকার ছবি লাগাও৷ দেশে জাতীয় পতাকার থেকে বড় তো আর কেউ নয়!’‌

করোনাভাইরাসের টিকাকরণের শুরু থেকেই কেন্দ্রের নীতি নিয়ে সরব ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সবাইকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার দাবি প্রথম তিনিই তুলেছিলেন। এমনকী প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছিলেন তিনি৷ পরে সেই দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট সিলমোহর দেওয়ায় তা মেনে নিয়ে প্রত্যেককে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার৷ এদিন তীব্র আক্রমণ করে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘‌বিজেপির দুটো কাজ—গুলি চালানো আর গালিগালাজ করা৷ ওরা শুধু জানে মিথ্যের পর মিথ্যে বলতে৷ তাই বলছি, জোট বাধুন, তৈরি হোন৷ মানুষের আজ স্বাধীনতা নেই৷’‌

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*