ইতিমধ্যেই কন্যাশ্রী প্রকল্প বিশ্বের দরবারে জায়গা পেয়েছে। এমনকী এই প্রকল্পগুলির হাত ধরে একাধিক আন্তর্জাতিক সম্মানও এসেছে রাজ্যে। তবে সূত্রের খবর, রাজ্যে মহিলাদের ক্ষমতায়নে নেওয়া একাধিক প্রকল্পে আর্থিক সাহায্য করতে চলেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। আর এটা যদি বাস্তবায়িত হয় তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাছে তা হবে মাইলফলক স্পর্শের সমান। ‘উইমেনস এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড ইনক্লুসিভ সোশ্যাল প্রোটেকশন প্রোগ্রাম’–এ প্রায় সাড়ে ১২ কোটি মার্কিন ডলার সাহায্য মিলতে পারে।
এদিকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে রাজ্যের যে বৃদ্ধি ঘটেছে তা ছাপিয়ে গিয়েছে দেশের গড় বৃদ্ধির হারকেও। ২০১৭–১৮ সালে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ছিল ৭.২ শতাংশ। আর রাজ্যে ছিল হার ৮.৯ শতাংশ। ২০১৮–১৯ সালে দেশের বৃদ্ধি ছিল ৬.৮ শতাংশ। কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের আরও বেশি অংশগ্রহণ করানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে রাজ্য সরকার মহিলাদের উন্নয়নে নানা প্রকল্প নিয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে সাধারণ মহিলাদের ৫০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং পিছড়ে বর্গের মহিলাদের ১০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কাজ চলছে। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, বিধবাভাতা থেকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কার্ড মহিলাদের নামে করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এছাড়া দিব্যাঙ্গদের ক্ষেত্রেও আয়ত্তাধীন বাড়ি বা কমিউনিটি কেন্দ্রীয় পরিচর্যার ব্যবস্থা করা–সহ অন্যান্য বিষয় নিয়েও করতে চায় রাজ্য সরকার। এমনকী কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো প্রকল্পের মাধ্যমে আরও বেশি করে মহিলাদের যুক্ত করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আরও বেশি করে নাগরিকদের যাতে সুবিধা দেওয়া যায় তারও ব্যবস্থা করতে চায় রাজ্য সরকার। যা ফলপ্রসূ হতে পারে বিশ্বব্যাঙ্কের সহায়তায়।
Be the first to comment