ত্রিপুরাকে এখন পাখির চোখ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেখানে এখন দেখা দিয়েছে চরম অচলাবস্থা। বারবার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–কর্মীদের উপর আক্রমণ নেমে এলেও সাংগঠনিকভাবে সেখানে মজবুত ভিত তৈরি হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি সেখানে মানুষ ব্যাপকভাবে যোগদান করেছে তৃমমূল কংগ্রেসে। তাঁদের মধ্যে বিজেপির নেতা–কর্মীরাও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দলের অন্দরে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন বেশ কয়েকজন বিধায়ক–সহ সুদীপ রায় বর্মণ।
এই পরিস্থিতিতে আজ সেখানে মন্ত্রিসভায় রদবদল হচ্ছে। সুদীপ রায় বর্মণ বরাবরই মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। মুকুল রায় এখন তৃণমূল কংগ্রেসে। এখন ত্রিপুরায় অন্য অঙ্ক তৈরি হচ্ছে। কয়েকদিন আগেই ত্রিপুরা থেকে কলকাতায় এসেছিলেন সুদীপ রায় বর্মণ–সহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা। তাঁদের মধ্যে আরও দু’জন বিধায়ক ছিলেন বলে সূত্রের খবর। কিন্তু তাঁরা কেউ তৃণমূল ভবনে যাননি। বরং রাতের অন্ধকারে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে কথা হয়ে গেল তাঁদের। তারপরই তাঁরা কলকাতা থেকে ত্রিপুরা রওনা দেন।
ত্রিপুরায় পৌঁছে বিপ্লব দেব প্রশাসনকে চরম বার্তাও দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এখনও যদি তাঁদের কথা না শোনা হয় তাহলে চরম পরিণতির জন্য তৈরি থাকতে। আবার আজ দেখে নেওয়া হচ্ছে মন্ত্রিসভার রদবদলে তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া হয় কিনা। ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছে নয়াদিল্লির তিন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা। কিন্তু যদি রদবদলের পর দেখা যায় সুদীপ গোষ্ঠীকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি তাহলে তাঁরা সদলবলে তৃণমূল কংগ্রেসে চলে আসবেন। আশঙ্কা, তাতে সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়তে পারে।
সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ত্রিপুরার ভূমিপুত্রই হবে এখানকার মুখ্যমন্ত্রী। সেই নিয়ে চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে ব্লু–প্রিন্ট। তাই ধরে নেওয়া হচ্ছে যে কোনও মুহূর্তে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে পারে বিপ্লব দেবের সরকার। আর মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন সুদীপ রায় বর্মণ। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর সেটা কেউ ঠেকাতে পারবে না। দেখতে থাকুন কি হয়।’
Be the first to comment