মুক্তি পেলেন না আরিয়ান খান ৷ তিনি, আরবাজ মার্চেন্ট ও মাদক মামলায় ধৃত আরও ৬ জনকে ১৪ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠাল মুম্বইয়ের আদালত।
আজ আদালতে আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানেশিণ্ডে বলেন, “ওরা নিজেদের ঘরে বা দলবলের সঙ্গে পার্টি করছিল ৷ যদি তাজমহল হোটেলের একটি ঘর থেকে মাদক উদ্ধার হয়, তাহলে হোটেলের সবাই এই চক্রের সঙ্গে জড়িত তা ভাবা ঠিক হবে না ৷” আরিয়ানের দাবি, “আমি শনিবার ক্রুজ টাক্মিনালে গিয়েছিলাম, যেখানে আরবাজ ছিল ৷ আমি যেহেতু ওকে চিনি, আমরা একসঙ্গে হেঁটে জাহাজের দিকে যাচ্ছিলাম, তখনই আমাদের ধরা হয় ৷ আমায় জিজ্ঞেস করা হয়, আমার কাছে মাদক আছে কি না ৷ আমি বলি, না ৷ ওরা আমার ব্যাগে তল্লাশি চালায় ৷ এরপর আমার তল্লাশি নেয় ৷ কিন্তু কিছু পায়নি ৷ আরবাজের সঙ্গে আমার বন্ধুত্বের কথা আমি অস্বীকার করছি না ৷ কিন্তু ওর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আমার কোনও ধারণা ছিল না ৷ এনসিবি আমার ফোন থেকে সবকিছু ডাউনলোড করে নিয়েছে ৷ তার উপর ভিত্তি করে আমায় জেরা করেছে ৷ তা আমার কোনও অভিযোগ নেই ৷ আমার সব চ্যাট ওদের কাছে আছে ৷ আমি সেগুলি আর বিকৃত করতেও পারব না ৷ এগুলি ফরেনসিককে ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে ৷”
আরিয়ানের এই বক্তব্যই আদালতে তুলে ধরেছেন তাঁর আইনজীবী সতীশ মানেশিণ্ডে ৷ তিনি শাহরুখ-পুত্রের জামিন চেয়ে বলেন, গত ২ রাত এনসিবি আরিয়ানকে জেরাও করেননি ৷ মানেশিণ্ডের দাবি, ওই ক্রুজ পার্টির গ্ল্যামার বাড়াতেই আরিয়ানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ৷ আরিয়ানের কথায়, “প্রতীক নামে আমার এক বন্ধু আমায় জানিয়েছিল যে আমায় ভিভিআইপি হিসেবে ওই পার্টিতে আমন্ত্রণ জানানো হবে ৷ ক্রুজে ১৩০০ জন ছিলেন, কিন্তু ৮ জনকে গ্রেফতার করা হল ৷”
তবে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অনিল সিং আদালতে বলেন, “আদালতের সময় নষ্ট না-করে বলতে চাই যে, আমি আরিয়ানের এনসিবি হেফাজতের দাবি জানাচ্ছি ৷ একজনকে সবার থেকে আলাদা ভাবে দেখা হোক, সেটা আমি চাই না ৷ আমি ওদের সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে তদন্ত করতে চাই ৷”
Be the first to comment