হরিয়ানার যমুনা নগর-সাহারানপুর সীমান্ত থেকে আটক করা হল পঞ্জাব কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধুকে। জানা গিয়েছে, লখিমপুর খেরিতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। সীমানা পেরিয়ে ঢোকার ক্ষেত্রে বাধা দেয় পুলিশ। অশান্তির সৃষ্টি হলে সিধু সহ কংগ্রেসের একাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়। কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিং সিধুর হুঁশিয়ারি, যদি বৃহস্পতিবারের মধ্যে অজয় মিশ্র টেনির ছেলেকে গ্রেফতার করা না হয়, তাহলে শুক্রবার থেকে অনশনে বসবেন তিনি।
ইতিমধ্যেই ঘটনার মূল অভিযুক্ত আশিস মিশ্রকে তলব করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আশিস পাণ্ডে এবং লব কুশকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বর্তমানে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছেন লখনউয়ের IG লক্ষী সিং। তাঁর কথায়, ‘দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনজন মৃতের ভূমিকা তারা নিশ্চিত করেছে। ধৃতদের কাছ থেকে আমরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। তারা আরও অনেক তথ্য জানাচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা মূল অভিযুক্তকে তলব করতে চলেছি।’ সূত্রের খবর, ঘটনাস্থল থেকে বুলেটের খোল মিলেছে। IG জানিয়েছেন, লখিমপুর খেরির হিংসার ঘটনায় মৃত কৃষকের দেহের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তেও গুলির কোনও আঘাত মেলেনি।
উল্লেখ্য, ওই ঘটনায় FIR এবং গ্রেফতারির নিরিখে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ঘটনার তদন্তের জন্য এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি প্রদীপ কুমার শ্রীবাস্তব হেডকোয়ার্টারের সঙ্গে ওই তদন্তের উপর নজর রাখবেন।
এদিকে লখিমপুর খেরির ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর অব্যাহত। বর্তমানে রাজনৈতিক নেতারা ওই স্থানে পৌঁছনোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু, হিংসা এড়াতে বর্তমানে লখিমপুর খেরি ঘিরে দেওয়া হয়েছিল। মৃতদের সৎকারের পর রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে এলাকায় যাওয়ার ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর ছবি আপলোড করেছেন তাঁরা। যা দেখে পঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি লিখেছেন, তাঁরা ‘গণতন্ত্রের রক্ষাকর্তা’। সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব ইতিমধ্যেই লখিমপুর খেরির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। লখিমপুর খেরির ঘটনায় প্রতিবাদে সরব তৃণমূল কংগ্রেসও। তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল নিহত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে।
Be the first to comment