বাংলাদেশের হিংসাকে শান্তিপুর উপনির্বাচনে প্রচারের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ তাঁর দাবি, বাংলাদেশের ঘটনার পর শান্তিপুরে তিন গুণ বেশি ভোটে জিতবে বিজেপি ৷ তবে দলের গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে প্রশ্ন করতেই মেজাজ হারালেন তিনি ৷ সংবাদমাধ্যমকে চটি চাটা বলে সম্বোধন করে আক্রমণ শানালেন ৷
শান্তিপুর বিধানসভার উপনির্বাচনের আগে দলের সাংগঠনিক কর্মিসভায় যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। আগামী ৩০ অক্টোবর শান্তিপুর বিধানসভায় উপনির্বাচন ৷ এই উপনির্বাচনে শান্তিপুরে চতুর্মুখী লড়াই হতে চলেছে। গত বিধানসভা ভোটে শান্তিপুরে জয়ী হয়েছিল বিজেপি ৷ বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করার পরেই শান্তিপুর বিধানসভায় আবারও উপনির্বাচন হতে চলেছে ৷ দ্বিতীয়বারের লড়াইয়ে জায়গা ছাড়তে নারাজ বিজেপি।
রবিবার বিজেপি কর্মীদের মনোবল বাড়াতে এবং কর্মীদের প্রচারের রণকৌশল বাতলে দিতে উপনির্বাচনের আগেই শান্তিপুরের একটি বেসরকারি লজে এক কর্মিসভার আয়োজন করে বিজেপি। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার-সহ দলের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব।
বিজেপির এই কর্মী বৈঠকের শেষে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বিজেপি একটি সর্বভারতীয় দল। শান্তিপুর বিধানসভার মানুষ উপনির্বাচনে বিজেপিকে ভোট দিয়ে আরও একবার জয়যুক্ত করবে । বাংলাদেশের ঘটনার পর এই আসনে তিনগুণ বেশি ভোটে বিজেপি জিতবে ৷ আর শান্তিপুরবাসীকে একটা কথাই বলব, শান্তিপুর একটি পূণ্যভূমি। তাই সব শান্তিপুরবাসীর উদ্দেশে বলি রাধে রাধে ।”
Be the first to comment