একাধিক আততায়ী জড়িত থাকতে পারে সুবীর চাকি এবং তাঁর গাড়িচালকের খুনের ঘটনায় ৷ তদন্তে নেমে পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণ ঘেঁটে লালবাজারের গোয়েন্দাদের প্রাথমিক অনুমান তাই জানাচ্ছে। গড়িয়াহাটের কাকুলিয়া রোডে কর্পোরেট সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুবীর চাকি এবং তাঁর গাড়িচালক রবীন মণ্ডলের গলাকাটা দেহ পাওয়া যায় রবিবার গভীর রাতে তাঁর কাকুলিয়ার রোডের বাড়ি থেকে ৷ সোমবার সকালে কাকুলিয়া রোডের ওই বাড়িতে আসেন কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা। সেখানে থ্রিডি মডেলিং-এর মাধ্যমে তদন্ত শুরু করেন তাঁরা।
লালবাজারের হোমিসাইড বিভাগের আধিকারিকের কথায়, থ্রিডি মডেলিং একটি অত্যাধুনিক ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে বিভিন্ন যন্ত্র এনে খুনের ঘটনাস্থল থেকে প্রাথমিক ভাবে আততায়ীর সংখ্যা সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায় ৷ কীভাবে ঘটনার কার্যক্রম সাজানো হয়েছিল, তাও জানা যায় ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুবীর চাকি এবং রবীন মণ্ডলকে খুন করে আততায়ী বা আততায়ীরা কাকুলিয়া রোডের ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা বালিগঞ্জ স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল ৷ সোমবার রাতে ও আজ সকালে ঘটনাস্থলে স্নিফার ডগ এনে ভাল করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ৷ স্নিফার কুকুরটি ঘর থেকে বেরিয়ে বালিগঞ্জ স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছেছিল ৷ এথেকে তদন্তকারীদের অনুমান আততায়ী বা আততায়ীরা খুনের পর বালিগঞ্জ স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে বেরিয়ে গিয়েছে ৷ তাই বিস্তারিত তথ্য পেতে রেল পুলিশের সাহায্য নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ ৷
পাশাপাশি তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সুবীর চাকির হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি ঘটনার দিন সন্ধে পর্যন্ত সচল ছিল ৷ হয়তো সন্ধের পরে তাঁদের খুন করা হয়েছে ৷ তাছাড়া ঘরে এবং আশপাশে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি ইতিমধ্যেই খুলে নিয়ে গিয়েছে লালবাজারের গোয়েন্দারা ৷
Be the first to comment