সপরিবারে ছুটি কাটাতে নৈনিতালতে বিপাকে বাঙালি পরিবার। সমতল থেকে প্রায় ৬০০০ ফুট উচ্চতায় ভাওয়ালি নামক একটি জায়গায় আটকে পড়েছেন হুগলির ওই পরিবার।
সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, কোনওরকমে একটি গেস্টহাউসে তাঁরা ঠাঁই পেয়েছেন। সেখানে ঠিকমতো ফোন পাওয়া যাচ্ছে না, মিলছে না ইন্টারনেটেও। যদি বা দু-একবার ফোনের টাওয়ার পাওয়া যাচ্ছে তাও বেশিক্ষণ থাকছে না। প্রশাসনের সাহায্যের আশা করে তাঁরা গভীর দুশ্চিন্তায় দিন গুনছেন।
চুঁচুড়া উত্তরায়ণের বাসিন্দা দীপান্বিতা চক্রবর্তী। পেশায় তিনি একটি ডিজিটাল মাধ্যমের সাংবাদিক। বছর খানেকও হয়নি বিয়ে করেছেন তিনি। বিয়ের পর পরিবারসহ তাঁদের প্রথম ট্যুর ছিল নৈনিতাল। দশমীর দিন ভোরে লালকুয়া এক্সপ্রেস ধরে তাঁরা নৈনিতাল রওনা দিয়েছিলেন।
আগামী সোমবার ফিরে আসার কথা ছিল এই পরিবারের। সুমনের মা টুলটুল চক্রবর্তী ও দীপান্বিতার মা অসীমা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তিন জন অফিস কলিগও তাঁদের সঙ্গে আটকে রয়েছে।
এদিন চুঁচুড়া উত্তরায়নে দীপান্বিতার বাড়িতে দেখা গেল চিন্তিত মুখে বসে আছেন তাঁর বাবা বাসুদেব মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, বুধবার ভোরে তাঁর মেয়ে জামাই এর সঙ্গে একবার কথা বলতে পেরেছেন। তাঁর মেয়ে জানিয়েছে, তাঁরা যখন নৈনিতাল পৌঁছান তখন আবহাওয়া ঠিকই ছিল। কিন্তু গত পরশু থেকে প্রচন্ড ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। গতকাল ভোরে তাঁরা নৈনিতাল থেকে গাড়ি করে কৌশানির পথে রওনা হয় কিন্তু মাঝরাস্তায় চরম বিপত্তির মুখে পড়েন তাঁরা। চারিদিকে পাহাড়ি ধস নামায় অনেক পর্যটকের সঙ্গে তাঁরাও আটকে পড়েছে। রাস্তা অত্যন্ত বিপজ্জনক হওয়ায় তাঁরা ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে।
ঘটনাস্থলে NDRF-এর কর্মীরা পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু আবহাওয়া যতক্ষণ না পরিষ্কার হচ্ছে ততক্ষণ তাদের আটকে থাকতে হতে পারে। সঙ্গে থাকা রসদও পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছে তাঁরা।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গেস্ট হাউসে বিদ্যুৎ নেই, মোবাইল টাওয়ারও ছিক মতো আসছে না। জল অল্প, খাবার দাবারও সেরকম নেই। তাই একা বাড়িতে বসে চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন বাসুদেব বাবু। তিনি জানান সেখানকার প্রশাসনই পারে একমাত্র সাহায্য করতে। এছাড়া কোনো উপায় নেই।
Be the first to comment