গত ১৪ অক্টোবর হিমাচল প্রদেশের হর্ষিল-চিতকুলের লাখমা পাসে যাওয়ার পথে ১১ জন পর্যটক নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন ৷ তাঁদের মধ্যে ৫ জনের মৃতদেহ চিহ্নিত করতে পেরেছেন উদ্ধারকারীরা ৷ ওই পর্যটকদের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর ভারতীয় সেনা ও এসডিআরএফ-এর তরফে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছিল ৷ সেই অভিযানেই পাঁচজনের মৃতদেহ চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে খবর।
যে ১১ জন পর্যটক নিখোঁজ হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৭ জন পশ্চিমবঙ্গের ছিলেন ৷ তাঁদের মধ্যে মিঠুন দারি নামে বছর একত্রিশের এক যুবককে উদ্ধার করা গিয়েছে। তাঁকে নিয়ে হিমাচল প্রদেশের দিকে রওনা দিয়েছে এসডিআরএফ ৷ বাকিদের সন্ধান এখনও চলছে ৷
১৪ অক্টোবর ওই দলটি লাখমা পাসের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন ৷ সেই দলে অনিতা রাওয়াত (বয়স ৩৮) নামে একজন দিল্লির মহিলা ছিলেন ৷ আর পুরোলা উত্তরকাশী থেকে ছিলেন তিন জন ৷ এছাড়া বাকি সাতজন – তন্ময় তিওয়ারি (৩০), বিকাশ (৩৩), সৌরভ ঘোষ (৩৪), সবিধান দাস (২৮), রিচার্ড মণ্ডল (৩০) ও সুখেন মাঝি (৪৩) কলকাতা থেকে গিয়েছিলেন ৷
ওই দলে ৬ জন কুলিও ছিলেন ৷ তাঁরা সকলে আইটিবিপি-র (ITBP) ক্যাম্পে যান ৷ সেখানেই প্রচণ্ড তুষারঝড়ে আটকে পড়েন ৷ তখনই আটজন হারিয়ে যান ৷ বুধবার বিষয়টি স্থানীয় ট্রেকিং সংস্থা উত্তরকাশী প্রশাসনকে জানায় ৷ তার পর সেনা ও এসডিআরএফ হেলিকপ্টারে তল্লাশি শুরু করে ৷
এদিকে আইটিবিপি-র জওয়ানদের সঙ্গে থাকা তিনজন কুলির মৃতদেহ উদ্ধার হল বুধবার ৷ ওই তিনজন ভারত-চিন নিলাপানি আন্তর্জাতিক সীমান্তে আইটিবিপি-র জওয়ানদের সঙ্গে টহলের দায়িত্বে ছিলেন ৷ অক্টোবরের ১৭ তারিখ ফেরার পথে তুষারপাতের মধ্যে পড়ে যান ৷ সেই সময় তাঁরা জওয়ানদের থেকে আলাদা হয়ে যান ৷
আইটিবিপি-র মাটলি ১২ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার অভিজিৎ সামাইয়ার জানান, বরফের নিচে এই দেহগুলি পাওয়া গিয়েছে ৷ দেহগুলি উদ্ধারের কাজ শুরু হবে শীঘ্রই ৷ অন্যদিকে বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সোমবার তুষারপাতের জন্য পাহাড়ের উপর আটকে পড়েন আইটিবিপি জওয়ানরা ৷ তাঁদের ওই দিনই নিলাপানি পৌঁছানোর কথা ছিল ৷ কিন্তু তাঁরা পরের দিনও ফিরতে পারেননি ৷
১৮ অক্টোবর থেকেই আইটিবিপির তরফে উদ্ধার কাজ শুরু করা হয় ৷ আরও পাঁচজন কুলিকে পাঠানো হয় খোঁজ করার জন্য ৷ অনেক খোঁজাখুঁজির পর তিনজনের দেহ চিহ্নিত করা হয় ৷ তিনজনই উত্তরকাশীর বাসিন্দা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে ৷
Be the first to comment