বলিউডের তথা মাদক চক্রের ত্রাস সমীর ওয়াংখেড়ে নিজেই এখন ভীত। তাঁর আশঙ্কা, ফ্রেম করার চেষ্টা করা হচ্ছে তাঁকে। নার্কোটিকস কনট্রোল ব্যুরোর জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনারকে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, ‘আমার নজরে একটি বিষয় এসেছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে রটানো হচ্ছে। কিছু অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে এমন সব অভিযোগ আনছেন, তাতে আমি নিশ্চিত আমাকে ফ্রেম করা হবে। এনসিবি-র ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল এ বিষয়টি এনসিবি-এর ডিরেক্টর জেনারেলের নজরে এনেছেন।’
২৫ কোটি পেলেই ছে়ড়ে দেওয়া হবে বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ পুত্র আরিয়ানকে। এনসিবি-এর তরফে এমন ডিলই অফার করা হয়েছে। মুম্বই মাদক মামলার এক সাক্ষীর দাবিতে তোলপাড়। এখানেই শেষ নয়, প্রভাকর সাইল নামে ওই সাক্ষীর দাবি তাঁকে দিয়ে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয় ও প্রাণের ঝুঁকিতে রয়েছেন তিনি। এই সবক্ষেত্রেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের দিকে।
একইসঙ্গে ইন্টারোগেশনের জন্য আনা আরিয়ান খানের একটি নয়া ভিডিয়ো নিয়েও নতুন করে শোরগোল। প্রভাকর সাইল পলাতক। এনসিবি অফিসে আরিয়ানের সঙ্গে তারই তোলা সেলফি ভাইরাল হয়। এদিনের ভাইরাল নয়া ভিডিয়োতে আবারও দেখা গিয়েছে কিরণ পি গোসাভিকে। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে কারও সঙ্গে কথা বলাচ্ছেন আরিয়ানকে। প্রভাকর-এর দাবি ফোন করা হয়েছিল শাহরুখের ম্যানেজারকে। নতুন ভিডিয়ো নিয়ে টুইটারে সোচ্চার হন শিব সেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত। তিনি বলেন, ‘আরিয়ান-কাণ্ডে এনসিবি প্রভাকর সেইলকে ফাঁকা পঞ্চনামায় সই করিয়েছে শুনে চমকে উঠেছি। আরও দাবি উঠেছে যে, সাক্ষ্য দেওয়ার বিনিময়ে প্রচুর পরিমাণ টাকার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। তাহলে তো মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধ্বব ঠাকরে ঠিকই বলেছিলেন, মহারাষ্ট্রের ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যেই এ সমস্ত কিছু চলছে। এখন তো মনে হচ্ছে, সেই মন্তব্যই সত্যি। পুলিশের সুয়োমোটো মামলা দায়ের করা উচিত।’
মুম্বই মাদক কেসে ‘সাক্ষী’ সন্দেহজনকভাবে নিখোঁজ কেপি গোসাভি। তাঁর বেপাত্তা হওয়ার পরই নিজের জীবনের ঝুঁকি অনুভব করছেন প্রভাকর সাইল। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার দিন তিনি নিজে কানে কিছু কথা শুনেছিলেন। সাইল একটি হলফনামায় দাবি করেছেন, গোসাভি ও শ্যাম ডিসুজার মধ্যে ওই দিন টাকা পয়সার ডিল নিয়ে কথা চলছিল। শাহরুখের ম্যানেজারকে ফোন করে আরিয়ানকে ছাড়ার জন্য ২৫ কোটি টাকা চাওয়া হয় বলে দাবি সাইলের। একইসঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন শেষ অবধি ১৮ কোটিতে রফা হয়। যার মধ্যে ৮ কোটি এনসিবি জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের অংশ বলেও সেদিনের আলোচনায় শুনেছিলেন বলে দাবি প্রভাকর সাইলের।
Be the first to comment