টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার পরও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে যাঁরা দুটি ডোজ নেওয়ার পরও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে কতজন কোভিশিল্ড নিয়েছেন এবং কতজনকে কোভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের সমীক্ষা চালানোর নির্দেশ দেন তিনি।
সোমবার উত্তরবঙ্গে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা জানান, শুধু প্রথম ডোজ করলে তো হবে না। দ্বিতীয় ডোজের নেওয়ার পরও রোগ প্রতিরোধকারী শক্তি পড়ে যাচ্ছে। বর্তমানে যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁরা টিকার দুটি ডোজ নিয়ে ফেলেছেন। মমতার কথায়’ ‘তার কারণ হল, ইমিউনিটি পাওয়ারটা ছ’মাসের বেশি থাকছে না। এটা তুমিও জান। আমিও জান। ঘরের বাইরে তুমি কতটা বলতে পারবে, ঘরের বাইরে আমি কতটা বলতে পারব, (সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে)। কিন্তু ফ্যাক্ট ইজ ফ্যাক্ট। রেকর্ড সেটাই বলছে।’
মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানান, সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে যে আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার দুটি ডোজ নিয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতেই পুরো বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সামনে আবারও উত্থাপন করার নির্দেশ দেন মমতা। তিনি জানান, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরও কেন করোনা হবে, সেটা কেন্দ্রের থেকে জানতে হবে। কেন মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পড়ে যাচ্ছে, জানতে হবে সেই বিষয়টাও। কেন্দ্র সেই বিষয়টি গবেষণা করে দেখেছে কিনা, তাও জানার নির্দেশ দেন। তারপরই বলেন, ‘এই যে ডবল ভ্যাকসিনে যাঁদের করোনা হচ্ছে, তাঁরা কি কোভিশিল্ড সেক্টর (কোভিশিল্ড নিয়েছেন) নাকি কোভ্যাক্সিন সেক্টরের (কোভ্যাক্সিন নিয়েছেন) অন্তর্গত, সেটাও একটা স্টাডি (গবেষণা করে দেখ)।’
Be the first to comment