ছটপুজোর পরই উত্তরপ্রদেশ যাচ্ছেন মমতা, তৃণমূলে যোগ ২ কংগ্রেস নেতার

Spread the love

‌ছটপুজোর পর নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে যাবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তৃণমূল নেত্রী নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। উত্তর প্রদেশের বারাণসীই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা কেন্দ্র। পরের বছরই আবার উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোট।

ইতিমধ্যে রাজ্যের বাইরে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে চলেছে তৃণমূল। ত্রিপুরা, গোয়ার পাশাপাশি এবার উত্তরপ্রদেশেও কংগ্রেস সংগঠন বিস্তার করতে চলেছে। এদিন উত্তরপ্রদেশের দুই কংগ্রেস নেতা রাজেশপতি ত্রিপাঠী এবং ললিতেশ পতি ত্রিপাঠী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন। এই যোগদান পর্বে উপস্থিত ছিলেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী জানান, ‘‌কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেই এরা তৃণমূল কংগ্রেসে এসেছেন। ছটপুজোর পর আমি উত্তরপ্রদেশে যাব। অভিষেকও যাবে। পুজোর পর এঁরা যখন উত্তরপ্রদেশে সভা করবেন, তখন আমি যাব। গঙ্গাসাগরের যে দৈতাপতি আছেন, তিনিও অযোধ্যার বাসিন্দা। তিনিও আমায় অনুরোধ করেছেন, তাঁর আশ্রমে যেতে। উত্তরপ্রদেশের যে দু’চারজন পরিবার আছেন, তার মধ্যে কমলাপতির নাম চলে আসবে। অনেক সংগঠনই আমাকে ডেকেছেন। উত্তর প্রদেশে স্বাধীনতা সংগ্রামের কাজে যে পরিবার কাজ করেছেন, সেই পরিবারের ডাকেই আমি উত্তরপ্রদেশে যাব।’‌ তিনি জানান, ‘‌এলাহাবাদ আমার কাছে নতুন নয়। লখনউ আমার কাছে নতুন নয়। উত্তরপ্রদেশে আগেও অনেক জায়গায় গিয়েছি। আবার যাওয়ার সুযোগ পেলাম। এনআরসির প্রতিবাদ জানাতে উত্তরপ্রদেশে গিয়ে সভা করেছিলাম।’‌

উল্লেখ্য, কংগ্রেস নেতা কমলাপতি ত্রিপাঠীর দুই নাতি ললিতপতি ও রাজেশপতি সোমবার তূণমূলে যোগ দিলেন। শিলিগুড়িতে তৃণমূল নেত্রীর উপস্থিতে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলেন তাঁরা। ললিতপতিবলেন, ‘উত্তরপ্রদেশে একটা বড় শক্তির বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। কাজটা মোটেই সহজ না। কংগ্রেস দুর্বল হয়ে পড়ছে। একটা সময়ে কংগ্রেস উত্তর প্রদেশে খুবই শক্তিশালী ছিল। আস্তে আস্তে কংগ্রেসেরই অনেক কর্মী দলের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ে। এই রাজ্যে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বামেদের হারিয়েছিল, তখন কেউ ভাবতে পারেনি। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই আমরা উত্তরপ্রদেশে লড়াই করব।’‌ উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গ সফর সেরে আগামী ২৮ অক্টোবর গোয়া যাবেন তৃণমূল নেত্রী।

তৃণমূলকে আঞ্চলিক দল বলে কোনও কোনও রাজনৈতিক দল খোঁচা দিলেও তার জবাব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, তৃণমূল কংগ্রেস দেশের সব জায়গায় যাবে। তৃণমূলকে এভাবে লক্ষ্মণরেখা দিয়ে আটকে রাখা যায় না। যাঁরা আসলে দাঙ্গা করে, তাঁরাই তৃণমূলকে আটকে রাখতে চাইছে। কিন্তু তৃণমূল দেশের প্রতিটি প্রান্তে যাবে ও প্রচার করবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*