এক সপ্তাহে সংক্রমণের হার বেড়েছে ২৭ শতাংশ। সাপ্তাহিক নমুনা পরীক্ষা ক্রমশ কমছে। কলকাতা নিয়ে এমনই উদ্বেগ প্রকাশ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকাকে চিঠি দিল কেন্দ্র। সেইসঙ্গে কঠোরভাবে করোনা বিধি পালনের পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষা, টিকাকরণ এবং করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণের উপর গুরুত্ব আরোপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে লেখা চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ জানান, গত ৩০ দিনে পশ্চিমবঙ্গে ২০,৯৩৬ জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। যা ওই সময়ের ভারতের মোট আক্রান্তের ৩.৪ শতাংশ। মৃত্যু হয়েছে ৩৪৩ জনের। যা ভারতের নিরিখে ৪.৭ শতাংশ। তারইমধ্যে অন্যতম ‘উদ্বেগের জেলা’ হয়ে উঠেছে কলকাতা। আক্রান্তের সংখ্যা, নমুনা পরীক্ষার মতো বিষয়ের পরিসংখ্যান তুলে ধরে পুরো বিষয়টি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব।
চিঠিতে জানানো হয়েছে, নয়া করোনা আক্রান্তের নিরিখে কলকাতায় উদ্বেগজনক গতিপ্রকৃতি ধরা পড়েছে। গত সপ্তাহে দৈনিক গড় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৭২। যা তার আগের সপ্তাহে ২১৭ ছিল। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে কলকাতায় দৈনিক গড় আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ শতাংশেরও বেশি বৃ্দ্ধি পেয়েছে। একইভাবে সংক্রমণের হারও বেড়েছে। ২১ অক্টোবর যে সপ্তাহ শেষ হয়েছে, সেখানে সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ৭.১ শতাংশ। যা তার আগের সপ্তাহের থেকে প্রায় ২৭ শতাংশ বেশি। গত ১৪ অক্টোবর শেষ হওয়া সপ্তাহে সংক্রমণের হার ছিল ৫.৬ শতাংশ।
দুর্গাপুজোর সময় থেকেই পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রের চিঠিতে জানানো হয়েছে, যেখানে করোনা সংক্রান্ত প্রাথমিক বিষয়গুলিতে (নমুনা পরীক্ষা, করোনা আক্রান্ত ও আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণ, করোনা বিধি পালন এবং টিকাকরণ) ঢিলেমি দেওয়া হচ্ছে, সেখানেই উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে সংক্রমণ। উৎসবের মরশুমের মাঝে যাতে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে না যায়, তা নিশ্চিত করতে কঠোরভাবে করোনা বিধি পালনের পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষা, টিকাকরণ এবং করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণের উপর গুরুত্ব আরোপের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
Be the first to comment