করোনা পরিস্থিতিতে আতশবাজি জ্বালানো আদৌও নিরাপদ কিনা তা নিয়ে সমস্ত সংশয় দূর করে দিয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ নির্দেশিকা জারি করল। আসন্ন কালীপুজো ও দিওয়ালিতে কোন কোন আতশবাজি জ্বালানো যাবে তা জানালো হল ৷ বাজি পোড়ানোর সময়ও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে ৷ এসমস্ত কিছুই নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে ৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, শুধু পরিবেশবান্ধব আতশবাজিকেই ছাড় দিয়েছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।
বিজ্ঞপ্তিতে ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশ উল্লেখ করেছে রাজ্য দূষণ পর্ষদ। এই নির্দেশিকার চারটি নির্দেশ তুলে ধরা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র পরিবেশবান্ধব আতশবাজি পোড়ানো যাবে। কালীপুজো এবং দিওয়ালির দিন রাত আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত দু’ঘণ্টা করে আতশবাজি পোড়ানো যাবে।
পাশাপাশি ছটপুজোতেও দু’ঘণ্টার জন্য আতশবাজি পোড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে ছটপুজোর ক্ষেত্রে সময়টা বদলেছে, সকাল ছ’টা থেকে আটটা পর্যন্ত বাজি পোড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ২৪ ডিসেম্বর এবং ৩১ ডিসেম্বর রাতে আতশবাজি পোড়ানোর জন্য বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে।
তবে ক্রিসমাস এবং নিউইয়ার ইভে দু’ঘণ্টা নয়, পাঁচ মিনিটের জন্য বাজি পোড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৷ এই দু’দিন রাত এগারোটা পঞ্চান্ন মিনিট থেকে বারোটার পর্যন্ত আতশবাজি পোড়ানোতে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে সমস্ত ক্ষেত্রেই আতশবাজি হতে হবে শুধু পরিবেশবান্ধব ৷
বায়ুদূষণ প্রতিরোধ করতেই রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এই পদক্ষেপ। এমনিতেই বাতাসে দূষণের মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি রয়েছে। এরপর আতশবাজি পোড়ানোর ফলে দূষণের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে করোনা আক্রান্ত রোগীদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের সমস্যার কথা ভেবেই আরও বেশি কড়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।
পশ্চিমবঙ্গ আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় জানিয়েছেন, সরকারি বিধি-নিষেধ মেনে আতশবাজির বিক্রি করা হবে। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ যে নির্দেশ দিয়েছে সেই নির্দেশ মেনেই বিক্রি করা হবে। সরকারি নির্দেশ মেনে শুধুমাত্র পরিবেশবান্ধব বাজি বিক্রি হবে এই মেলায় । কোনও রকমের শব্দবাজি বিক্রি করা হবে না।
Be the first to comment