ফের পিছলো নন্দীগ্রাম মামলা, শুভেন্দুর আইনজীবীকে লিখিত বয়ান দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

Spread the love

ফের পিছিয়ে গেল নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি। সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পরই ফের শোনা হবে মামলা। সোমবার এমনটাই জানানো হয়েছে আদালতের তরফে। অন্যদিকে মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দিয়ে লিখিত বয়ান আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শুভেন্দুর আইনজীবীকে।

আগামী ১ ডিসেম্বর এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। তার আগে জমা দিতে হবে বয়ান। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা চলছে বলেই হাইকোর্টে মামলাটি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। গণনায় কারচুপির অভিযোগেই এই মামলা করা হয়েছিল। বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে চলছে এই মামলার শুনানি।

আজ সোমবার হাইকোর্টে শুনানি ছিল। এর আগেও এই মামলা পিছিয়ে দেওয়া হয়। এবার ফের একবার পিছিয়ে গেল মামলা। এ দিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী আদালতে জানান, যেহেতু সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলা চলছে, তাই হাইকোর্টে শুনানি পিছিয়ে দিতে হবে।

এই আর্জি শুনে ক্ষুব্ধ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী গোপাল মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এটি একটি নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা, তাই এই মামলা ফেলে রাখা যায় না।’ তাঁর বক্তব্য,  ‘অগস্টে মামলার শুনানি ছিল। এরপরও যদি শোনা না হয় তাহলে কবে শোনা হবে? এভাবে নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা ফেলে রাখা যায় না।’ অযথা এই মামলা ফেলে রাখা যায় না বলে মন্তব্য করেন তিনি। মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দিয়ে লিখিত বয়ান কেন জমা দেওয়া হয়নি, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।

এরপরই বিচারপতি জানান, সুপ্রিম কোর্টের মামলার শুনানির আগে লিখিত আবেদন দিতে হবে শুভেন্দুর আইনজীবীকে। ২৯ নভেম্বর শুভেন্দু অধিকারীকে লিখিত বয়ান দিতে হবে হাইকোর্টে। প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর জয়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ফলাফল পুনর্গণনার দাবি নিয়ে করা এই মামলার শুনানি কৌশিক চন্দের এজলাসে ওঠায় তা নিয়ে বেজায় অসন্তুষ্ট হয় তৃণমূল শিবির।

এর কারণ হিসেবে দাবি করা হয়, কৌশিক চন্দকে একাধিক সময় বিজেপির নানা অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে। তাঁর সঙ্গে বিজেপির ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে আবেদন জানানো হয় যেন এই মামলাটি অন্য বিচারপতির বেঞ্চে সরিয়ে দেওয়া হয়। বহু বাক বিতণ্ডার পর অবশেষে মামলাটি ছেড়ে দেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। মামলাটি ছেড়ে দেওয়ার সময় বিচারপতি তোপ দেগে বলেছিলেন, ‘বিচার ব্যবস্থাকে কলুষিত করা হয়েছে।’ সেই মর্মে তাঁকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। আগেও বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়। এ দিকে একই মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*