রাজ্যে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ হবে। আগামী দুই মাসের মধ্যে ১৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। আজ, মঙ্গলবার বিধানসভায় ঘোষণা করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের ঢিলেমি ও নানারকমের আইনি জটিলতা, টেট দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। সেই প্রশ্নের উত্তরেই ব্রাত্য বসু এদিন বলেন, যত দ্রুত সম্ভব নিয়োগ করা হবে।
ব্রাত্য বসু বলেন, ‘রাজ্য শিক্ষক নিয়োগে বদ্ধপরিকর। আমরা ইতিমধ্যেই প্রাথমিকে ৩৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করেছি। তবে শিক্ষক নিয়োগে অনেক মামলা হয়েছে। মামলা মিটিয়ে নিয়োগের চেষ্টা হচ্ছে। আগামী ২ মাসে এসএসসি-তে নিয়োগ হবে। আদালতের জট কাটিয়েই SSC-তে নিয়োগ হবে দ্রুত। আগামী ২ মাসে ১৫ হাজার এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ হবে রাজ্যে।’ আশ্বস্ত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
এসএসসির মাধ্যমে রাজ্য কবে থেকে আবার শিক্ষক নিয়োগ শুরু করবে, তা নিয়ে বিধানসভায় প্রশ্ন করেন পাথরপ্রতিমার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সমীর জানা। প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী এদিন বিস্তারিত বিষয়টি জানান। নানান জটিলতায় জড়িয়ে এসএসসি-টেট! একাধিক ক্ষেত্রে বেনিয়ম, নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে। কিছু নজিরবিহীন মামলাও রয়েছে। যেখানে স্কুল সার্ভিস কমিশন নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়েছে। এদিনের মামলায় কমিশনের কাজে বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি। মামলা থেকে সরে দাঁড়ান কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল।এই নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। সেইসব অভিযোগের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন ধরে আইনি জটে আটকে ছিল নিয়োগ প্রক্রিয়া। গত জুলাইয়ে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগের উপর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ তুলে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ।
চলতি মাসে একাধিক অভিযোগে বিরক্ত হয়ে আপাতত নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ভর্তসনার মুখে পড়তে হয় কমিশনকে। বিরোধীরা এই নিয়ে ইস্যু করেন। এদিনও বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় শিক্ষামন্ত্রীকে। তিনি তখন বলেন, “আদালতের নির্দেশ মেনে আমরা কাজ করছি। এসএসসি কমিশনের ৬ জন অফিসার রোজ বসে প্রার্থীদের অভিযোগ শুনছেন। অভিযোগের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। আদালত আমাদের তিন মাস সময় দিয়েছে। আমরা অভিযোগের তালিকা আদালতে জমা দেব। আদালত আমাদের সময়সীমা বর্ধিত করেছে। আমরা আশা করছি আদালতের নির্দেশেই আমরা দ্রুত নিয়োগ করতে পারব। বিভিন্ন আইনি জটিলতায় কাজ আটকে রয়েছে।”
জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়েও কেন্দ্রের সমালোচনা করেন তিনি। তিনি একটি বিষয় উল্লেখ করেন, “সংবিধান অনুযায়ী শিক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এটা কেন্দ্র যদি কোনও দুর্বোধ্য নীতি করে চাপিয়ে দেয়, আমাদের বক্তব্য থাকলে আমরা বলবই।”
Be the first to comment