বিএসএফ-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতা করে আজ সরকারি প্রস্তাব আনা হয়েছিল বিধানসভায়। ভোটাভুটিতে পাস হয়ে গেল সেই প্রস্তাব। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ১১২টি ও বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৬৩টি। বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ালে সংবিধানের বিরোধিতা করা হবে বলে দাবি তৃণমূল সরকারের। এই ইস্যুতেই এ দিন সরব হয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়কেরা। এই প্রসঙ্গে বিধানসভার পরিষদীয় নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ক্রমশ সীমান্তবর্তী নয়, এমন এলাকাতেও ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে বিএসএফ-এর। এ দিন ভোট দেননি আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
কেন্দ্রীয় সরকার বিএসএফের এলাকাবৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা আদতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপরে আঘাত, এই মর্মেই সরকারি প্রস্তাব আনা হয় মঙ্গলবার। এই ইস্যুতে এ দিন বিধানসভায় সরব হন উদয়ন গুহ, তাপস রায় সহ তৃণমূল বিধায়কেরা।
এ দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই রাজ্যের সীমান্তে নজরদারি চালানোর লক্ষ্য়ে বিএসএফ-এর এলাকা ১৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই পাঞ্জাব বিধানসভায় এই মর্মে প্রস্তাব পাশ হয়েছে। সোমবারই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে এ কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী। সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিএসএফের হাতে ক্ষমতা দেওয়ার বিরুদ্ধে সরকারের বিধিবদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে সোমবারেরই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও।
Be the first to comment