মধ্যমগ্রামের প্রশাসনিক বৈঠকে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভর্ৎসনার মুখে কলকাতা পুলিশ ও বিধাননগর কমিশনারেট। চিংড়িঘাটা কার? এই নিয়ে একে অপরের কোর্টে দীর্ঘদিন ধরেই বল ঠেলাঠেলি দুই এলাকার পুলিশের মধ্যে। এই ইস্যুতে চরম ধমক মমতার। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরই চিংড়িঘাটায় পরিদর্শনে গিয়েছেন বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকার, রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য সহ একাধিক আধিকারিক।
বুধবার মধ্যমগ্রামের নজরুল শতবার্ষিকী সদনের বৈঠকে চিংড়িঘাটা দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ আসতেই বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকারকে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘চিংড়িঘাটায় কেন রোজ এত দুর্ঘটনা ঘটছে? কলকাতা পুলিশ বলে ওটা আমার নয়। বিধাননগর বলে ওইটুকু আমার, ওইটুকু কলকাতা পুলিশের। তোমাদের নিজেদের ইগোর লড়াইয়ের জন্য সাধারণ মানুষ কেন ভুগবে? শীঘ্র এই সমস্যা মেটাও।’ শুধু বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারকেই নয়, মুখ্যমন্ত্রী যে ডিজি ও কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গেও কথা বলেছেন এদিন সকালে, তাও জানান।
তবে এখানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারি, আর একটা অ্যাক্সিডেন্টও যেন না হয়। মানুষের জীবন অনেক দামি। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘পরপর কতগুলো অ্যাক্সিডেন্ট দেখলাম, যেগুলি হওয়ার নয়। সমস্যা কমাতে ওখানে একটা ছোট ফুট ওভারব্রিজ করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, সবার আগে বিধাননগর আর কলকাতা পুলিশ বসে নিজেদের সমস্যা মেটাবেন।’
মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পরই তৎপর হন পুলিশ আধিকারিকরা। বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকার, রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য, কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) সন্তোষ পাণ্ডে সহ পুলিশের কর্তা ব্যক্তিরা এদিন বিকেলে চিংড়িঘাটা গিয়ে সব বিষয় খুঁটিয়ে দেখেন।
Be the first to comment