নুসরতের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ চূড়ান্ত, নিখিলের পক্ষেই রায় আদালতের

Spread the love

নিখিল জৈনের সঙ্গে নুসরত জাহানের বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হল। অ্যানালমেন্ট অফ ম্যারেজ নিয়ে নিখিলের করা মামলায় আদালত রায় দিয়েছে তাঁর পক্ষে। সূত্রের খবর, নিখিলের আইনজীবী সত্যব্রত চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “বিচারপতি নিখিলের পক্ষে রায় দিয়েছেন।”

অভিনেত্রী নুসরত জাহান অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার আগেই তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদ চেয়ে আলিপুর আদালতে আবেদন করেছিলেন নিখিল জৈন ৷ গত ফেব্রুয়ারি মাসেই তিনি ডিভোর্সের নোটিস পাঠিয়েছিলেন বলে শোনা যায় ৷ নুসরতের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর ছড়াতেই নিখিল জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, নুসরতের সন্তানের বাবা তিনি নন ৷

গত ৪ জুন তৃণমূল সাংসদের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই এই নিয়ে শুরু জল্পনা ৷ নুসরতের সন্তানের বাবা কে, তাই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয় নেট মাধ্যমে ৷ তবে তার ক’দিন পরেই ৯ জুন নুসরত একটি বিবৃতি দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটান ৷ তিনি দাবি করেন, “তুরস্কের বিয়ের আইন অনুযায়ী বিদেশের ওই অনুষ্ঠান অবৈধ ৷ আর যেহেতু এটা দুই ধর্মে বিয়ে, সে জন্য এটি বৈধতা পেতে স্পেশ্য়াল ম্যারেজ অ্যাক্টের স্বীকৃতি প্রয়োজন, যেটা ঘটেনি ৷

আইন অনুযায়ী এটা কোনও বিয়ে নয় ৷ এটা একটা সম্পর্ক অথবা একটা লিভ-ইন সম্পর্ক ৷ সুতরাং বিবাহবিচ্ছেদের প্রশ্নই ওঠে না। দীর্ঘদিন হল আমরা আলাদা আছি। তবে এ নিয়ে কখনও কিছু বলিনি, কারণ আমার ব্যক্তিগত জীবন নিজের কাছেই রাখতে চেয়েছি ৷ তাই আমার সঙ্গে জড়িত কেউ বা কোনও সংবাদমাধ্যম এই সেপারেশনের ভিত্তিতে আমার কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে না ৷ এই বিয়ে বেআইনি ও অবৈধ ৷

সম্পর্কে চিড় ধরার পর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছিলেন নিখিল জৈন ৷ যেহেতু আইনি প্রক্রিয়ায় ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন হয়নি তাঁদের, তাই অ্যানালমেন্ট করেই আলাদা হতে হত দম্পতিকে। সে জন্য সেই পথেই হাঁটেন নিখিল। অবশেষে আদালতের রায়ে পাকাপাকি হল বিচ্ছেদ ৷

২০১৯ সালে নুসরত-নিখিলের বিয়ে ছিল রূপকথার উপাখ্য়ান। ১৩ জুন কলকাতায় গায়ে হলুদের পর্ব মিটিয়ে ১৫ জুন নিখিল ও অন্যান্য প্রিয়জনদের সঙ্গে নিয়ে তুরস্কের উদ্দেশে পাড়ি দেন বসিরহাটের সাংসদ। ১৯ জুন বিয়ের পর্ব সেখানে সেরে পরের মাসে, অর্থাৎ জুলাইয়ের ৪ তারিখ কলকাতার বিলাসবহুল হোটেলে ধুমধাম করে পালিত হয় তাঁদের ওয়েডিং রিসেপশন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*