প্রবীর ঘোষালকে তৃণমূলের ‘এঁদো পুকুরে’ যাওয়ার পরামর্শ দিলীপ ঘোষের

Spread the love

‘‘এঁদো পুকুরে ছিলেন ওখানেই চলে যান ৷ ওখানে কমফোর্টে থাকুন ৷ আমাদের কোনও টেনশন নেই ৷’’ প্রবীর ঘোষালকে এই বলেই আক্রমণ বিজেপির জাতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

বুধবার বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগোবাংলায় উত্তর সম্পাদকীয় লেখেন উত্তরপাড়ার বিজেপি প্রার্থী প্রবীর ঘোষাল ৷ সেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে নানা ইস্যুতে সমালোচনা করেছেন ৷ পরে সাংবাদিক বৈঠক করেও বিজেপির বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন তিনি ৷

এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘ভারতীয় জনতা পার্টি গঙ্গার মতো পবিত্র ছিল থাকবে । অনেকে এসেছেন, সেই পবিত্রতাকে সহ্য করতে পারছেন না । যাঁদেরকে নিচ্ছে না । ওখানে নো এন্ট্রি বোর্ড আছে, এই ধরনের কষ্টের মধ্যে আছেন, তাঁরা কোথায় যাবেন ঠিক করতে পারছেন না । কেউ বলেছিলেন আগে ভুল করেছিলাম, আবার কেউ বলছেন এখন ভুল করছেন । কে কি ভুল করেছেন আগে ঠিক করুন ।’’

গতকাল, বুধবার প্রশাসনিক বৈঠকে বিধায়ক-সাংসদদের কাজে ক্ষুব্ধ হয়ে ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘যখন মানুষ ক্ষেপে যায়, তখন এই ধরনের কথা বার্তা বলে আই ওয়াশ করার চেষ্টা করেন প্রত্যেকবার । কখনও কেষ্টকে (অনুব্রত মণ্ডল) ধমকান, আবার বলেন ওর একটু অক্সিজেন কম, আবার ওর টাকাতে পার্টি চলে । এই ধরনের নাটকবাজি দেখে দেখে বাংলার মানুষ ক্লান্ত।’’

দিলীপের দাবি, ‘‘লোককে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে নাম লেখাচ্ছেন, একটা পয়সা দেন না। ইলেকশনের আগে বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেন কিছু করেন না। মানুষ বিকল্প খুঁজেছে ৷ বিজেপি এসেছে । আমরা যেমন এর প্রতিবাদও করব, তেমনি মোদীজির কাজ কিভাবে হতে পারে সেটাও দেখাব।’’

বিএসএফের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। তিনজনকে গুলি করে মারা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষকে নয় বাংলাদেশকে মেরেছে আর এই জন্য পরিধি বাড়ানো হয়েছে। যারা বাংলাদেশিদের কাছ থেকে টাকা নেয়, ব্যবসা করে, তারা চিৎকার চেঁচামেচি করেন।’’

তাঁর দাবি, ‘‘এই সিদ্ধান্তে দেশের লোক খুশি । আমাদের সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে হবে । দেশের সুরক্ষা সব থেকে প্রথম । যারা এটা নিয়ে বিজনেস করছে তাদের কষ্ট হচ্ছে ।’’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*