মন্ত্রীসভায় রদবদলের ২৪ ঘণ্টা আগেই রাজস্থানে বড়সড় নাটকীয় পরিস্থিতি। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের ক্যাবনেটের সমস্ত মন্ত্রীই ইস্তফা দিলেন শনিবার। প্রত্যেকেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিজেদের ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন। আর এরপরই রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, রাজস্থানের গেমচেঞ্জার হিসেবে উঠে আসতে পারেন সচিন পাইলট। ক্যাবিনেটে জায়গা করে নিতে পারেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অশোক গেহলটের ক্ষমতা হ্রাস হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।
ইতিমধ্যেই দলের মধ্যে শুরু হয়েছে জোর গু়্জন। রাজস্থান কংগ্রেসের নেতারা একে একে দেখা করেছেন কংগ্রেস হাইকমান্ডের সঙ্গে। এই তালিকায় রয়েচেন অশোক গেহলটও। তিনিও ইতিমধ্যেই সাক্ষাৎ করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে। তবে গোটা ক্যাবিনেটের পদত্যাগে আগামীদিনে রাজস্থানে তাঁর অবস্থান যে নড়বড়ে হতে চলেছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সে ক্ষেত্রে সচিন পাইলটের প্রায় হাফ ডজন ঘনিষ্ট জায়গা করে নিতে পারেন রাজস্থানের মন্ত্রিসভায়।
বর্তমানে রাজস্থান ২১ জন মন্ত্রী রয়েছেন। আরও নয় মন্ত্রীর চেয়ার খালি রয়েছে গেহলট সরকারে। রাজস্থান মন্ত্রিসভার সদস্য হরিশ চৌধুরি, রঘু শর্মা ও গোবিন্দ সিং দোতাসরা প্রথম বেড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধেন। একে একে তাঁরা দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে নিজেদের ইস্তফা পত্র জমা দিয়েছেন। দলের বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নয়, বরং প্রশাসনিক পদ ছেড়ে দলীয় সংগঠনে কাজ করার ইচ্ছাই প্রকাশ করেছেন গেহলট ক্যাবিনেটের ওই তিন মন্ত্রী।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মাসেই হরিশ চৌধুরিকে পঞ্জাব কংগ্রেসের ইনচার্জ পদে নিয়োগ করা হয়। তারপর থেকেই তিনি মন্ত্রী পদ ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। বাকি দুই মন্ত্রীও একই কারণ দেখিয়ে ইস্তফা জমা দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধীর কাছে।
রদবদলের জোর জল্পনার মধ্যেই শুক্রবার দিল্লিতে দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন সচিন পাইলট। মন্ত্রিসভার রদবদলে রাজ্য়ে কী প্রভাব পড়তে পারে তা নিয়ে তরুণ এই নেতার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সচিন পাইলট বিগত এক বছর ধরে যে গুরুত্বপূর্ণ পদের দাবি জানিয়ে এসেছেন, এ বার সেই দাবি পূরণ করা হতে পারে বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
Be the first to comment