‘২০২৩ সালে কংগ্রেসই ক্ষমতায় আসবে’, নয়া ক্যাবিনেট গড়ে এমন মন্তব্যই করলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। রাজস্থানের মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদল হয়েছে রবিবার। এদিন বিকেলে ১৫ জন বিধায়কের শপথগ্রহণ করছেন। ওই রাজ্যের কংগ্রেস প্রধান গোবিন্দ সিং দোতাসরা ইতিমধ্যেই ১৫ জন নব নিযুক্ত মন্ত্রীর তালিকা প্রকাশ্যে এনেছেন। হেমারাম চৌধরী, মুরারী লাল মিনা, জাহিদা খান, রাজেন্দ্র সিং গুধা, ব্রিজেন্দ্র ওলা রয়েছেন নির্বাচিত ক্যাবিনেট মন্ত্রীর তালিকায়।
সূত্রের খবর, তাঁরা প্রত্যেকেই সচিন পাইলট ঘনিষ্ঠ। এছাড়াও মহেন্দ্রজিৎ সিং মালব্য, শকুন্তলা রাওয়াত, গোবিন্দ রাম মেঘওয়াল, মহেশ যোশী, রামলাল জাট, বিশ্বেন্দ্র সিং, মমতা ভূপেশ এবং টিকারাম জুলি। এই ১৫ জনের মধ্যে ১১ জন ক্যাবিনেট মন্ত্রী। রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী চার জন।
বর্তমানে ৩০ জন মন্ত্রী নিয়ে অশোক গেহলটের নয়া ক্যাবিনেট গঠিত হয়েছে। জয়পুরে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণও করেছেন নব নিযুক্ত মন্ত্রীরা। যদিও এবারের মন্ত্রসভায় পাইলট ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু মন্ত্রী থাকায় অশোক গেহলটের ক্ষমতা বেশ খানিকটা কমে যাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও সচিন পাইলট জানিয়েছেন, রাজস্থান কংগ্রেসে কোনও মতান্তর নেই। মন্ত্রিসভা গঠনের আগে কংগ্রেসের অন্দরে বৈঠক হয়েছে বলেই দাবি সচিনের। তাঁর কথায়, ‘সকলের সম্মতিক্রমে নয়া ক্যাবিনেট গঠিত হয়েছে।’
মন্ত্রিসভায় রদবদলের ২৪ ঘণ্টা আগেই রাজস্থানে বড়সড় নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের ক্যাবিনেটের সমস্ত মন্ত্রীই ইস্তফা দেন শনিবার। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের -এর কাছে নিজেদের ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছিলেন তাঁরা। অশোক গেহলোটের গুরুত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে ওইদিনের ঘটনার পর।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, এবারে রাজস্থানের ‘গেমচেঞ্জার’ হতে পারেন সচিন পাইলট। ক্যাবিনেটে জায়গা করে নিতে পারেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অশোক গেহলটের ক্ষমতা হ্রাস হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।
ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, অশোক-সচিন যা-ই বলুন না কেন রাজস্থানের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থান যথেষ্ট নড়বড়ে। এরই মাঝে সচিন পাইলটের ঘনিষ্ট নেতারা জায়গা করে নিলেন রাজস্থানের মন্ত্রিসভায়।
Be the first to comment