তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি সায়নী ঘোষকে ত্রিপুরায় গ্রেফতারের জের এসে পড়ল কলকাতাতেও ৷ ওই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির সদর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভে সামিল হয়েছে তৃণমূল। সোমবার সকালে বিজেপির রাজ্য দফতরের বাইরে বিক্ষোভে বসে যান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। সদর দফতরের মূল প্রবেশদ্বারের বাইরে এই বিক্ষোভ হয়। গেটের বাইরে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে ধিক্কার জানিয়ে পোস্টর লাগানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে জোড়াসাঁকো থানার পুলিশ ৷
তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের দাবি, অবিলম্বে তাঁদের নেত্রী সায়নী ঘোষকে মুক্তি দিতে হবে। তাঁদের অভিযোগ, ত্রিপুরায় একটা স্বৈরাচারী সরকার চলছে। একটা অপদার্থ সরকার। ত্রিপুরায় সরকারের কার্যাকলাপের বিরুদ্ধেই আমাদের আন্দোলন।
পুলিশ সূত্রে খবর, আগাম কোনও ঘোষণা ছাড়াই মধ্য কলকাতার তৃণমূল কর্মীরা এখানে বিক্ষোভ শুরু করেন। তবে পুলিশ পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। প্রথমে বিজেপির সদর দফতরের মূল প্রবেশদ্বার আটকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। পরে জোড়াসাঁকো থানার পুলিশ সেই গেট থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। পরে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ-এর রাস্তার বাইর বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
মধ্য কলকাতার স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাহুল রায় বলেন, “ত্রিপুরায় স্বৈরাচারী সরকার চলছে। আমাদের নেত্রী সায়নী ঘোষকে বিনা কারণে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এর প্রতিবাদেই আমাদের আন্দোলন। আজ আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় পৌঁছেছেন। তাঁকে বাধা দেওয়া হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব ৷”
রবিবার দিনভর উত্তপ্ত ছিল আগরতলা ৷ পৌর নির্বাচনের প্রচারের জন্য তৃণমূলের নেতারা ত্রিপুরার যে হোটেলে উঠেছেন, সেখান থেকে সায়নীকে থানায় নিয়ে যায় পূর্ব আগরতলা মহিলা থানার পুলিশ ৷ কয়েক ঘণ্টা জেরা করার পর সায়নীকে গ্রেফতার করা হয়। এরই মধ্যে থানায় একদল লোক মাথায় হেলমেট পরে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ ৷ তৃণমূলের দাবি, পুলিশের সামনেই তাদের দলীয় কর্মীদের মারধর করে বিজেপি আশ্রিত গুন্ডারা ৷
এদিকে, উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই আজ সকালে ত্রিপুরা পৌঁছেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আগরতলা বিমানবন্দরে নেমেই ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবের সরকারকে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি ৷ ধমকে, চমকে ত্রিপুরায় তৃণমূলকে দমিয়ে রাখা যাবে না বলে মন্তব্য করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ৷
Be the first to comment