ত্রিপুরার পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি রওনা হওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নেত্রী বলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যে গণতন্ত্রের কঙ্কাল বেরিয়ে পড়েছে। বিপ্লব দেবের রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। গুন্ডারা বটি, ছুরি অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। থানায় ঢুকেও মারছে বিজেপি।’ এখানেই শেষ নয় দিল্লিতে সাংসদদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ত্রিপুরার লাগাতার অত্যাচার করছে বিজেপি। এই নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়ে রবিবার রাত থেকে সময় চেয়ে আসলেও, এখনও সময় পায়নি। ওরা এখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দফতরের সামনে ধরনা দিচ্ছে। ওঁরা আমাকে কাল রাতেই বলেছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাড়ির সামনে অনশনে বসবে। কিন্তু, আমিই বারণ করেছি। কারও বাড়ির সামনে এভাবে বসা ঠিক নয়।’
এরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপি-এর বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ‘কিন্তু, ওঁরা কোনও সৌজন্য দেখাচ্ছে না। এতক্ষণ ধরে অ্যাপয়েন্টমেন্ট চেয়েও কোনও পাত্তা দিচ্ছেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উনি বিজেপি-এর লোক, ওনাদের রাজ্যে এরকম অবস্থা। কিন্তু, চেয়ারটার তো একটা সম্মান আছে। তাও কোনও সৌজন্য দেখাচ্ছেন না।’
বাংলার ভোটপূর্ব পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা টেনে নেত্রীর কটাক্ষ, ‘আমাদের এখানে ৩৬৫ দিনে প্রতিদিন গোটা ভারতের বিজেপি নেতারা এসেছেন বাংলায়। কই সেখানে তো আমরা কখনও বাধা দিইনি। এসব হয়নি। কোথায় নাড্ডা কনভয়ের ল্যাজে কে কী করেছে, সেই নিয়ে মানবাধিকার কমিশন, ৩৬৫ ধারা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চিঠি কত কী করেছে বিজেপি। এখন কোথায় কেন্দ্র। ত্রিপুরা সরকারকে কটা চিঠি পাঠানো হয়েছে? বিজেপি ভোট করে না, শুধু জোট করে। তাই এত ভয়। ওরা সংবিধান মানে না। শুধু মানুষকে ঠকাতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠকের জন্য দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, সেখানে গিয়ে তিনি সাংসদদের সঙ্গে দেখা করলেও ধরনায় সামিল হবেন না।
Be the first to comment