মমতার সঙ্গে দেখা করলেন জাভেদ আখতার, সুধীন্দ্র কুলকার্নি

Spread the love

মাস কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দিল্লি সফরে যান, তখন তাঁর সঙ্গে দেখা করে পরিবর্তনের কথা বলেছিলেন জাভেদ আখতার। এবার ফের মমতার দিল্লি সফরের দ্বিতীয় দিনে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন বিশিষ্ট এই শিল্পী। এ দিন দুপুরে মমতার সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছে গিয়েছেন জাভেদ আখতার। এ ছাড়াও রয়েছেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা সুধীন্দ্র কুলকার্নি। তাঁদের ওই সাক্ষাতের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

সোমবারই দিল্লি পৌঁছেছেন মমতা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে রয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার সেখানেই দেখা করতে যান বিশিষ্ট গীতিকার জাভেদ আখতার। সক্রিয়ভাবে রাজনীতি না করলেও বিভিন্ন ইস্যুতেই একাধিকবার সরব হয়েছেন তিনি, জড়িয়েছেন বিতর্কেও। এর আগে গত জুলাই মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরকালে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন জাভেদ আখতার ও তাঁর স্ত্রী তথা বিশিষ্ট অভিনেত্রী শাবানা আজমি। কেন্দ্র সরকার বিরোধী স্বর তাঁদের গলায় পাওয়া গিয়েছে বারবার, তাই রাজনৈতিক মহলের অনুমান তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন জাভেদ আখতার।

জুলাই মাসে সাক্ষাতের পর জাভেদ আখতার বলেছিলেন,  ‘দেশ জুড়ে পরিবর্তন চাই।’ তবে সেই পরিবর্তনের মুখ কে হবেন? অর্থাৎ বিরোধীদের জোট তৈরি হলে কাকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হবে? সেই প্রশ্নের উত্তরে জাভেদ আখতারের উত্তর ছিল, ‘মমতা সেই নেতা বা নেত্রী বাছতে চান না। তিনি শুধু পরিবর্তন চান, ঠিক যেমনটা বাংলায় হয়েছে।’ শুধু তাই নয়, সে সময় ‘খেলা হবে’ স্লোগান প্রসঙ্গে জাভেদ আখতার বলেছিলেন,  ‘এখনই প্রমাণ চান আপনারা? এই স্লোগান নিয়ে কোনও কথা হবে না।’ এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে জাভেদ আখতারকে অনুরোধ করেছিলেন যাতে তিনি ‘খেলা হবে’ স্লোগান নিয়ে তিনি একটা গান লিখে দেন।

আপাত দৃষ্টিতে সেই সাক্ষাৎ সাধারণ মনে হলেও দ্বিতীয়বারের সাক্ষাৎ জল্পনা বাড়িয়ো দিয়েছে কয়েক গুণ। ২০১১-এ রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের সময় বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন বুদ্ধিজীবীরা। তাই একদিকে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২৪-এ দিল্লিতে পরিবর্তনের বার্তা দিচ্ছেন, তখন এই শিল্পীর সঙ্গে সাক্ষাৎ সেই জল্পনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

শুধু জাভেদ আখতারই নয়, প্রাক্তন বিজেপি নেতা সুধীন্দ্র কুলকার্নিও এ দিন মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরেছেন।  সুধীন্দ্র কুলকার্নি প্রাক্তন বিজেপি নেতা। একসময় অটল বিহারী বাজপেয়ী ও লালকৃষ্ণ আদবানির ঘনিষ্ঠও ছিলেন তিনি। আদবানির রাজনৈতিক কৌশলী হিসেবে কাজ করতেন একসময়, বাজপেয়ীর বক্তৃতাও লিখতেও সাহায্য় করতেন। সেরকম একজন নেতার মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*