যে ভাবে ভোট হয়েছে তাতে বিজেপি যে আশঙ্কা করেছিল সেটারই সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে, এমনটাই দাবি গেরুয়া শিবিরের। বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছে, ১৪৪ টি ওয়ার্ডের প্রায় সবকটাই দখল করেছে শাসক দল। তাই বিজেপির দাবি, ১৪৪ টি ওয়ার্ডেই পুনর্নির্বাচন করতে হবে। সন্ত্রাসের জেরে সব ভোট বাতিলের দাবি জানিয়েছে তারা।
পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কী ভাবে ভোট হয়েছে তার প্রমাণ দেওয়ার জন্য বিজেপির তরফ থেকে সব ছবি ও ভিডিয়ো ফুটেজ পাঠানো হচ্ছে কমিশনে। এ দিন ভোট শেষে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে যায় বিজেপির প্রতিনিধি দল। ঘটনাস্থলে এসে তাদের তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। শুধু কমিশন নয়, কলকাতা হাইকোর্টেও একই প্রমাণ নিয়ে অভিযোগ জানাবে বিজেপি।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি এ দিন বিজেপি অভিযোগ নিয়ে যায় রাজভবনে। সেখানে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছেও তাঁরা নালিশ জানাচ্ছেন। আজ সকাল থেকেই ভোটের কলকাতার চেনা ছবি দেখা গিয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে এতদিন আশ্বাস দিয়ে আসা হয়েছে, কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র শনিবার রাতেও পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু কাজের কাজ সেভাবে কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ বিরোধীদের। বেলা গড়াতেই দেখা গিয়েছে, শাসক দলের বিরুদ্ধে ভুড়ি ভুড়ি অভিযোগ। এই সবের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতেই আজ সন্ধ্যায় রাজ্যপালের দরবারে যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারীরা।
এ দিন সল্টলেকে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ। বাড়ি ঘিরে রাখার ঘটনায় নজর রেখেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। টুইটারে বিজেপি নেতাদের পুলিশি বাধার একটি ভিডিয়োও শেয়ার করেছেন তিনি। ওই ভিডিয়োর সঙ্গে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সল্টলেকে শুভেন্দুর বাসভবন বিধাননগর পুলিশ সম্পূর্ণভাবে অবরুদ্ধ করে রাখে পুলিশ। সেখানে রাজ্যের কিছু নেতা সহ বিজেপির ২০ জন বিধায়ক ছিলেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
Be the first to comment