গত সপ্তাহেই তৃণমূলের নতুন জাতীয় কর্মসমিতি তৈরি হয়েছে। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার তার প্রথম বৈঠক হতে চলেছে। সূত্রের খবর, এদিন কালীঘাটে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যালয়ে এই বৈঠক হবে। এই বৈঠকে নির্ধারিত হতে পারে কোন সাংগঠনিক পদে কে থাকবেন। কালীঘাটে বেলা ৩টেয় এই বৈঠক হবে। নতুন জাতীয় কর্মসমিতিতে ২০ জনকে রাখা হয়েছে। সকলেই প্রথম জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই বৈঠক নিঃসন্দেহে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এই মুহূর্তে তৃণমূলে সাংগঠনিক পদাধিকারী একজনই, তিনি চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকিরা সাধারণ সভ্য। শুক্রবারের বৈঠকে বাকি পদে কারা থাকবেন, সেগুলি চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া সার্বিকভাবে জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে পা বাড়াচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তা নিয়েও এই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত শনিবারই চার পুরনিগমের ভোটের বিকেলে কালীঘাটে হাইভোল্টেজ বৈঠক হয়। ছিলেন স্বয়ং তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রাও সেই বৈঠকে ছিলেন। সেখানেই ২০ জনের একটি নামের তালিকা তৈরি হয়। যেখানে নাম রয়েছে অমিত মিত্র, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বুলুচিক বারিক, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সুখেন্দু শেখর রায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অসীমা পাত্র, মলয় ঘটক, রাজীব ত্রিপাঠি, অনুব্রত মণ্ডল, যশবন্ত সিনহা, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, গৌতম দেবের। এই ২০ সদস্য নিয়েই তৈরি হয়েছে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতি।
গত শনিবারের বৈঠকের পরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, দলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকি কে কোন পদে থাকবেন তা পরে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। জাতীয় নির্বাচন কমিশনেও সে তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। শুক্রবার সেই তালিকাই চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ তৃণমূলের এই জাতীয় কর্মসমিতি নিয়ে খোঁচা দেন মঙ্গলবার। দিলীপ ঘোষ বলেন, “ওদের তো দলের মধ্যেই স্বচ্ছতা নেই। কমিটি হচ্ছে, দু’টো কমিটি হচ্ছে। সমস্ত কমিটিই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। একজনই মালিক।”
Be the first to comment