রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে আটজনের পুড়ে মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে রাজ্যকে সহযোগিতার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যে রামপুরহাট কাণ্ডে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাওয়া বিজেপির মুখ পুড়েছে। এছাড়া বুধবার বগটুই যাওয়ার পথে বর্ধমানে নেমে বিজেপি নেতাদের ‘ল্যাংচা পিকনিক’ ভাইরাল হয়ে যাওয়াতেও অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি (BJP)। আর তাই মুখ রক্ষার জন্য বিধানসভা বয়কটকেই বেছে নিল।
বৃহস্পতিবার দুটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর স্বাস্থ্য ও শিল্প দপ্তরের বাজেটের উপর আলোচনা হয়। দুটি দপ্তরের এই বাজেট আলোচনায় লক্ষ্যণীয়ভাবে অনুপস্থিত রইলে বিরোধী বিজেপি দলের বিধায়করা। এদিন, বিধানসভা শুরুর প্রথম আধঘণ্টা ভিতরে ওয়েলে নেমে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখানো হোক। রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে আলোচনার দাবি তোলেন তাঁরা। এরপর ওয়াকআউট করে অধিবেশন কক্ষের বাইরে এসে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। রামপুরহাট কাণ্ডের প্রতিবাদে সরকার বিরোধী স্লোগান চলে।
বিরোধীদের এই ভূমিকা নিয়ে কটাক্ষ করেছে শাসক শিবির। বিরোধী শূন্য অধিবেশন কক্ষে শিল্প বাজেট নিয়ে ভাষণ দিতে উঠে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ”অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়। শিল্প বাজেটের সময় বিরোধীরা নেই। বিরোধী দলনেতা থাকলে বলতাম, হলদিয়া শেষ করল কে? হলদিয়াকে তো অধিকারী নগর বানিয়ে ফেলেছেন! বিধানসভায় থেকে তো বাজেটের উপর আলোচনা করে দিশা দিতে পারতেন। তা না করে বাইরে বসে ছবি তুললেন।” স্বাস্থ্য বাজেটের উপর বক্তৃতা দিতে উঠে একই সুরে বিরোধীদের কটাক্ষ করেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ”যারা রোজ রোজ স্বাস্থ্য পরিষেবার দিকে আঙুল তোলে, তারা আজ বাজেট বক্তৃতায় নেই। এটা দুর্ভাগ্যজনক। এরা (বিজেপি) রাজনৈতিকভাবে ল্যাং খেয়ে, তারপর ল্যাংচা খেয়ে এখন ঢেঁকুর তুলছে। দুর্ঘটনা সমর্থন করি না। মুখ্যমন্ত্রী সব পদক্ষেপ নিয়েছেন। আমাদের মন্ত্রীও তো গিয়েছিলেন, কই? তিনি তো ল্যাংচা খাননি।”
রামপুরহাট কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিধানসভায় বৃহস্পতিবার সকালে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। ভিতরে আধঘণ্টা বিক্ষোভ, পরে ওয়াকআউট করে বাইরে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ। যতদিন না পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা হবে, ততদিন বিধানসভায় বিক্ষোভ চলবে বিজেপির।
Be the first to comment