প্রশাসনিক সংস্কার করে পরিষেবায় স্বচ্ছতা আনতে আরও একধাপ এগলো রাজ্য প্রশাসন। তৈরি রাজ্যের নিজস্ব জন্ম-মৃত্যুর পোর্টাল। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘সিভিল রেজিস্ট্রি সিস্টেমে’র মাধ্যমে এতদিন রাজ্যের নাগরিকরা জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র পেয়ে থাকত। এবার স্বাস্থ্য ভবনের নিজস্ব পোর্টাল থেকেই এই পরিষেবা মিলবে। একইসঙ্গে কেন্দ্রের পোর্টালেও সমস্ত তথ্য নথিভুক্ত হবে। আগামী বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পোর্টালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে পারেন। সোমবার স্বাস্থ্যভবন থেকে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
‘জন্ম-মৃত্যু তথ্য’ পোর্টালের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে রাজ্যের সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল ও মাতৃসদনকে। যুক্ত করা হয়েছে সব পুরসভা, পঞ্চায়েত ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের অধীনে থাকা ‘স্টেট আরবান ডেভলপমেন্ট এজেন্সি’। পাশাপাশি জন্ম-মৃত্যুর সাক্ষরকারী সাবরেজিস্ট্রারের ‘ডিজিটাল সিগনেচারও’ নেওয়া হয়েছে। কারণ একটাই কোনভাবেই যাতে জাল শংসাপত্র করা না যায়।
আর সবচেয়ে বড় সুবিধা জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র পেতে আর পুরসভা বা পঞ্চায়েতে যেতে হবে না। অনলাইনে মিলবে। এটা যেমন একটা দিক, তেমনই এই পোর্টাল সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে টোল ফ্রি নম্বর চালু করা হয়েছে। ১৮০০৩১৩৪৪৪২২২ নম্বরে ফোন করে জানা যাবে। রাজ্য যেমন নিজস্ব পোর্টাল চালু করেছে, তেমনই স্থানীয় ভিত্তিতেও পোর্টাল চালু হবে। যার মাধ্যমে এলাকার জন্ম-মৃত্যুর তথ্য এক জায়গায় আসবে এবং স্থানীয় সাব রেজিস্ট্রারের ডিজিটাল সই সম্বলিত জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র নাগরিকের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে। এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, কেন্দ্রীয় সরকারের পোর্টাল থাকতেও কেন রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর পৃথক পোর্টাল তৈরি করল।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, গত এক বছরে রাজ্যের প্রান্তিক জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে জন্ম মৃত্যুর শংসাপত্র জাল করে ভিন রাজ্যে চালানো হয়েছে। কয়েকমাস আগে পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও এমন অপকর্মের সন্ধান পায় স্বাস্থ্যভবনের ভিজিল্যান্স সেল। গোটা বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। সেই ঘটনার পরেই রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর স্বচ্ছতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে নিজস্ব পোর্টাল তৈরি করে। রাজ্য সরকার নিজস্ব পোর্টাল তৈরি করলেও সেই পোর্টালের সমস্ত তথ্য কেন্দ্রের পোর্টালেও যুক্ত হবে।
Be the first to comment