বিরোধীদের ‘ধমকানি, চমকানি’তে যে তৃণমূলকে পিছু হঠানো যাবে না, সেকথা বারবার মমতা, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিভিন্ন নেতানেত্রীর গলায় শোনা গিয়েছে। তৃণমূল সরকারের বর্ষপূর্তির দিন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের ফেসবুক পোস্টও যেন আত্মবিশ্বাসে ভরা। তাঁর ভবিষ্যৎদ্বাণী, জ্যোতি বসুর রেকর্ড ভেঙে আগামী ২০৩৬ সাল পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বাংলার মসনদে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।
তৃণমূলের এক সৈনিক হিসাবে সোমবার একটি দীর্ঘ ফেসবুক পোস্ট করেন কুণাল ঘোষ। ওই ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “২০৩৬ সাল পর্যন্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মমতাদি। আর সেই ২০৩৬ সালে তিনি অভিভাবকের মতো উপস্থিত থাকবেন এমন অনুষ্ঠানে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেবেন অভিষেক। মুখ্যমন্ত্রিত্বে জ্যোতি বসুর রেকর্ড ভেঙে ভারতে নজির গড়বেন মমতাদি। তবে তার মধ্যে যদি দিল্লির এবং দেশের দায়িত্ব নিতে হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরেকরকম তো হবেই।”
ওই পোস্টে মূলত পাঁচটি পয়েন্ট উল্লেখ করেছেন কুণাল ঘোষ। প্রথম এবং দ্বিতীয় পয়েন্টের মাধ্যমে বিরোধী বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেস নেতাদের আক্রমণ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া রাজ্যে বিরোধীদের আর কোনও স্থান নেই বলেও নিজের ফেসবুক পোস্টে বারবার উল্লেখ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। তৃতীয় পয়েন্টে দলবদলকারীদের বার্তা দিয়েছেন। কোন মন্ত্রবলে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে রাজ্যের মসনদে আসীন তৃণমূল সরকার, ফেসবুক পোস্টে উল্লেখিত চার এবং পাঁচ নম্বর পয়েন্টে সে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।
তবে তাঁর মতে দলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে শুধু আত্মতুষ্টি নয়, আত্মসমালোচনাকেও আরও গুরুত্ব দিতে হবে। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের প্রতি তাঁর বার্তা, “মেদজনিত নেতিবাচকতা থেকে সতর্ক থাকতেই হবে।” বারবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগে সরব হয় বিরোধীরা। তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দেন কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “পুরনোরা মানুন, সময়ের সঙ্গে নতুনের পদধ্বনিকে স্বাগত জানাতেই হবে, আমরা ছিলাম বলে আর কেউ আসবে না, তা হয় নাকি? আবার নতুনরা মানুন পুরনোরা ভিত গড়ে না দিলে আজকের মঞ্চটাই থাকত না। এখন সময়োপযোগী কর্মসূচিতে দলকে আরও এগিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব তাঁদের।” ফেসবুক পোস্টের একেবারে শেষে দলের প্রত্যেক কর্মীকে প্রণাম ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ।
Be the first to comment