ময়ূরেশ্বরের তৃণমূল নেতার মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা

Spread the love

রাজ্যে ফের তৃণমূল কর্মীর রহস্যমৃত্যু। এবার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল বীরভূমের ময়ূরেশ্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যের। নিহতের স্ত্রীর দাবি খুন করা হয়েছে তাঁকে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের মতে, পথ দুর্ঘটনার বলি ওই তৃণমূল নেতা।

নিহত বছর তেত্রিশের কাজি নুরুল হাসান ওরফে আকাশ, ময়ূরেশ্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। বুধবার রাত সাড়ে নটা মল্লারপুর থানার খড়াসিম গ্রামের কাছে রাস্তায় তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। দেহের অদূরেই পড়ে ছিল তৃণমূল নেতার মোটরবাইক এবং মোবাইল। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। নিহতের স্ত্রী মৌসুমী বিবির দাবি খুন করা হয়েছে ওই তৃণমূল নেতাকে। তাঁর দাবি, মোশারফ হোসেন চক্রান্ত করে খুন করেছে। ময়ূরেশ্বর ব্লক পরিচালনায় সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে তৃণমূল। সেই কমিটিরই সদস্য মোশারফ। যদিও মৌসুমীর অভিযোগ খারিজ করেছেন মোশারফ। তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে আকাশের মতবিরোধ ছিল না। কয়েকদিন আগে ব্যবসা করার জন্য ২০ হাজার টাকা ঋণও দিয়েছিলাম। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করুক পুলিশ।”

তবে কেউ কেউ আবার তৃণমূল নেতার মৃত্যুকে অস্বাভাবিক বলে মানতে নারাজ। তাঁদের মতে, বুধবার রাতে তৃণমূল নেতা যথন বাড়ি ফিরছিলেন তখন রাস্তায় বালি পড়েছিল। তীব্র গতিতে থাকা বাইকের চাকা বালিতে পিছলে যায়। তার ফলে পড়ে যান তৃণমূল নেতা। চোট গুরুতর হওয়ায় মৃত্যু হয় তাঁর। মল্লারপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। খুন নাকি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ওই তৃণমূল নেতার, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২১ মার্চ রাতে বগটুই মোড়ে খুন হন বড়শাল পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ। তারপরই বগটুই গ্রামে একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে ১০ জনের। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ভাদু শেখ হত্যাকাণ্ড এবং বগটুই কাণ্ডে তদন্ত করছে সিবিআই। জারি ধরপাকড়ও।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*