কাশীপুরে বিজেপি নেতার রহস্যমৃত্যু ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি যখন এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি করছে তখন তৃণমূলের বক্তব্য, মৃত অর্জুনকে ইদানীং দলেরই এক বিদ্রোহী নেতার সঙ্গে দেখা যেত। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে এই মৃত্যু কি না, তদন্ত হওয়া দরকার। রাজ্যে অমিত শাহের উপস্থিতিতে ইস্যু তৈরি করার জন্য বিজেপি এই ঘটনা সাজিয়েছে কি না সেটাও তদন্তের দাবি তুলল তৃণমূল। যদিও এমন সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি।
শুক্রবার সকালে কাশীপুরের বিজেপি নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃত্যুর পরেই এটি খুন এবং পিছনে তৃণমূল রয়েছে বলে অভিযোগ তোলে বিজেপি। এর পরে পরেই তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ টুইট করে প্রশ্ন তোলেন। লেখেন, ‘আত্মহত্যা, নাকি আসলে নিজেদেরই বিক্ষুব্ধ শিবিরের কাউকে শেষ করে ইস্যু তৈরির চেষ্টা? তাঁর সফরের মধ্যে হলে নাটক করার সুযোগও থাকছে। ওদেরই সুপরিকল্পিত চিত্রনাট্য নয় তো? জনবিচ্ছিন্ন সরীসৃপরা প্রচার আর কুৎসার জন্য আর কত নামবে? তদন্ত চলুক।’ পরে সাংবাদিক বৈঠক করেও একই দাবি করেন কুণাল। বলেন, ‘‘অর্জুনকে বিদ্রোহী, বিক্ষুব্ধ নেতার সঙ্গে দেখা যেত। তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলে যাঁরা কুৎসা করেছেন, বিজেপির বহিরাগতরা যা যা করেছেন, তাতে হাতের ছাপ থেকে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ তুলতে পারি। পরিবারকে চাপ, হুমকি দেওয়া হচ্ছে কি না তাও প্রশ্ন।’’ এর পাশাপাশি কুণালের দাবি, ‘‘কর্মীকে বলি দিয়ে নেতার নাটকের মঞ্চ তৈরি হচ্ছে কি না তাও দেখতে হবে।’’
কুণালের এই দাবি প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘নিজেদের দোষ ঢাকতে বারবার একই দাবি তোলে তৃণমূল। গত কয়েক বছরে রাজ্যে দু’শোর বেশি বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। সব ক্ষেত্রেই তৃণমূল দাবি করেছে, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এখানেও তেমনটা বলা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিজেপি সাজিয়েছে কি না প্রশ্ন তুলে তৃণমূল নেতারা নিজেদের ভাবনার পরিচয় দিচ্ছেন। ওটা যে তৃণমূল করে তার অনেক নজির রয়েছে।’’ এর পাশাপাশি দিলীপ বলেন, ‘‘আমরা চাইছি এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত হোক। তদন্ত হলেই জানা যাবে এক প্রাণোচ্ছল তরুণকে কে বা কারা এমন নৃশংস ভাবে খুন করল।’’
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, শাহ কলকাতায় পৌঁছেই যাবেন কাশীপুরে। সেই সফর নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল। তিনি বলেন, ‘‘কাশীপুরে গেলে দমদম ফিরে গিয়ে উত্তরপ্রদেশে নির্যাতিতদের সঙ্গেও দেখা করুন।’’ একই সঙ্গে বলেন, ‘‘সকাল থেকে বিজেপির বহিরাগতরা কাশীপুরে যা যা করেছে, তাতে হাতের ছাপ থেকে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগও তোলা যায়।’’
Be the first to comment