পাটশিল্প নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ডাক পেলেন না বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। সোমবার বিকেল তিনটে নাগাদ পাটশিল্পের সমস্যা নিয়ে বৈঠকে বসছে কেন্দ্র, রাজ্যের শ্রম দপ্তরের প্রিন্সিপাল সচিব এবং পাটকলের মালিকপক্ষ। অথচ বৈঠকে ডাকই পেলেন না এই ইস্যু নিয়ে সরব হওয়া সাংসদ। তা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি অর্জুন। তবে তাঁর কথায়, “আমাকে ডাকা উচিত ছিল।”
পাটশিল্প নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়েছেন সাংসদ। একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সমালোচনাও করেছেন। এদিনও তাঁর হুঁশিয়ারি,”বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে কেন্দ্র। তবে আলোচনায় পথ না বের হলে তো আন্দোলনের পথ খোলা থাকবেই।” তিনি আরও বলেন, “শ্রমিকদের বাঁচাতে যার সঙ্গে সংঘাতে যেতে হয় যাব। নাহলে বাংলায় পাটশিল্প বাঁচবে না।”
এতকিছুর পরও এদিনের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ডাক পাননি বারাকপুরের সাংসদ। যা নিয়ে কিছুটা হলেও আক্ষেপের সুর শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়। অর্জুনের কথায়, “আমাকে না ডাকলে কীভাবে যাব! তবে আমাকে ডাকা উচিত ছিল। কিছু ভুল হলে শুধরে দিতাম। কিন্তু ওঁরা ভেবেছেন নিজেরা ঠিক করে নেবেন। ডাকলে ভাল হত। দেখা যাক কী হয়।” পাটশিল্পের সমস্যার কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েথিলেম তিনি। কিন্তু উত্তর পায়নি। সমস্যার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও।
প্রসঙ্গত, পাটশিল্পের দুরবস্থাকে হাতিয়ার করে বেশ কিছুদিন ধরেই রীতিমতো বেসুরে কথা বলছিলেন অর্জুন। গত কয়েকদিনে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের বিরুদ্ধে একাধিকবার সরব হয়েছেন তিনি। আসলে কেন্দ্রীয় সরকার পাটের দামের ঊর্দ্ধসীমা বেঁধে দেওয়ার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছেন অর্জুন। এমনকী, এই শিল্পের হাল ফেরাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যৌথ আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তাঁর একাধিক মন্তব্যে তৃণমূল ঘনিষ্ঠতার ইঙ্গিত মিলেছিল। মমতা ছাড়াও ওড়িশা, অসম ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকেও চিঠি লেখেন তিনি।
Be the first to comment