কয়েকঘণ্টার বৃষ্টিতে জলমগ্ন শহর

Spread the love

অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উপকূলের আরও কাছে অশনি। ঝড়ের অভিমুখ আপাতত উত্তর-পশ্চিমে। পরে গতিপথ পাল্টে আসতে পারে ওড়িশার দিকে। এই পরিস্থিতিতে আজ থেকেই কলকাতা ও জেলার বিভিন্ন অংশে বৃষ্টি শুরু। বাড়বে কাল থেকে। সপ্তাহের শুরুতে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। সাগরে মত্স্যজীবীদের যাওয়ার ক্ষেত্রে আপাতত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে এই বৃষ্টি সরাসরি অশনির প্রভাবে নয় বলেই মনে করচে আবহাওয়া দফতর। 

সোমবার সকালের বৃষ্টিতে কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় জল জমেছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে মানিকতলায় ১৭ মিলিমিটার, দত্তবাগানে ৩৩ মিলিমিটার, বালিগঞ্জে ৫৭ মিলিমিটার, পামারবাজারে ৩৪ মিলিমিটার, সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ে ৫৩ মিলিমিটার ও মোমিনপুরে ৫৫ মিলিমিটার। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, এখন ভাটা। তাই সন্ধে ৬টা পর্যন্ত লকগেট খোলা থাকবে। 

সকালের বৃষ্টিতে জল জমেছে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে। এতে দুর্ভোগে পড়েন অফিসযাত্রীরা। তাঁদের জল পেরিয়ে অফিস যেতে হয়।  সকাল সোওয়া ১০টা নাগাদ মা উড়ালপুলের নিচে সায়েন্স সিটির কাছে দেখা যায় রাস্তায় জমে রয়েছে জল।  

অন্যদিকে, অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র পরোক্ষ প্রভাবে আজ সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতা ও উপকূলবর্তী দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।  বৃষ্টি হয়েছে হাওড়াতেও। কলকাতার যাদবপুর ও সার্দার্ন অ্যাভিনিউতে সকালেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে। বৃষ্টি হয়েছে পর্ণশ্রী, ইএম বাইপাস, পার্ক সার্কাস এলাকায়।   বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা, বাসন্তী ও ডায়মন্ড হারবারে। হাওড়ার সালকিয়া, কদমতলা, বাঁকড়া সহ বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে।  পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। কাঁথিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বেঁধে রাখা হয়েছে ট্রলারগুলিকে। কাঁথির বাকিপুটে সমুদ্রবাঁধ পরিদর্শন করেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। চালানো হচ্ছে সতর্কতামূলক প্রচার। 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*