হেঁশেলে আগুন। মূল্যবৃদ্ধির কোপে আলুসেদ্ধ ভাতও। রাজ্যে লাফিয়ে বেড়েছে আলুর দাম। এবার সেই দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে কড়া হচ্ছে নবান্ন। বুধবার এমনই ইঙ্গিত দিলেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কী জানালেন তিনি?
এদিন কৃষিমন্ত্রী জানান, “যেহেতু এখনও কোল্ড স্টোরেজ থেকে আলু ছাড়েনি। আবার আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার জন্য সঠিক সময়ে আলু উৎপাদনও হয়নি। তাই দামটা বেড়েছে। আশা করছি, দিন ১৫-২০’র মধ্যে আলুর দাম কমবে।” তবে দাম না কমলে রাজ্য সরকার যে কড়া ব্যবস্থা নেবে তার ইঙ্গিতও দিয়ে রাখলেন মন্ত্রী। বললেন, “আমরা চেষ্টা করব দাম নিয়ন্ত্রণে আনার। নাহলে মুখ্যমন্ত্রীর দারস্থ হব। তবে আশা করছি দাম কমে যাবে।”
এবার আলুচাষে চাষিদের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। তাঁর কথায়, “আবহাওয়ার জন্য আলুচাষে ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে আলুর আকারে ক্ষতি হয়েছে। যদিও চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি হয়েছে।” কৃষিমন্ত্রী আরও জানান, “মুখ্যমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে আলু চাষিদের বিমা আগে দেওয়া যায়। সেই মোতাবেক AICL-কে আমরা অনুরোধ করি যাতে বিমাটা আগে দেওয়া যায়। ওরা রাজি হয়েছিলেন।”
শোভনদেব আরও জানান, মোট ১ লক্ষ ৪৩ হাজার আলু চাষি ক্ষতিপূরণ পাবেন। যার মোট টাকার অঙ্ক ১১২.৮৮ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে ৯৪ হাজার ৮৮৬ জন আলু চাষি ক্ষতিপূরণ পেয়ে গিয়েছেন। এই টাকার পরিমাণ ৬৩.৭৭ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, ভোজ্য তেল, মাছ-মাংস, আনাজপাতির দাম আগেই বেড়েছে। শেষ সম্বল ছিল আলুসেদ্ধ ভাত। তাও আর পাতে পড়ার জো থাকছে না। চন্দ্রমুখী থেকে জ্যোতি, পোখরাজ, এস ওয়ান সব আলুর দামও ক্রমশ বাড়ছে। চন্দ্রমুখী এমন খেলছে যে হাফ সেঞ্চুরি করা সময়ের অপেক্ষা। পাল্লা দিচ্ছে জ্যোতিও। হিমঘর, আড়তদার, বাজারের আলু বিক্রেতাদের কথায়, আলুর খেলা সবে তো শুরু!
Be the first to comment